কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মোদি ভালো কিন্তু ভারত ভালো নয় : ট্রাম্প

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:১৮

খুব শিগগিরই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে সফরের আগেই ভারত-মার্কিন বন্ধুত্বের তাল কাটল তাঁরই কথাতে। ভারত সম্বন্ধে কড়া ভাষায় নেতিবাচক কথা বললেন ট্রাম্প। তিনি বললেন, মোদি খুব ভালো মানুষ। তাঁর ভীষণ পছন্দের মানুষ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সম্বন্ধে ভারতের মনোভাব ভালো নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ভারতের 'বাণিজ্যিক ব‌্যবহার' ভালো নয়। মোদি ভালো বলেই তিনি ভারতে আসছেন। তাছাড়া ভারত হলো বাণিজ‌্য শুল্কের রাজা। অতিরিক্ত কর চাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ‌্য বিক্রিতে ক্ষতি করেছে ভারত। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বরাবরই স্পষ্টবাদী, খামখেয়ালি, আপাদমস্তক ব‌্যবসায়ী মনোভাবের মানুষ বলেই জানে দুনিয়া। আমেরিকার ঘনিষ্ঠতম বন্ধু দেশগুলির বিরুদ্ধেও তিনি এর আগে মুখের উপর সত্যি কথা বলে দিয়ে তাদের বিরাগভাজন হয়েছেন। অতীতে তাঁর কড়া কথা ভালভাবে নেয়নি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপিন্স, ইজরায়েল, তাইওয়ান, কানাডা, ব্রিটেনের মতো বন্ধু দেশগুলি। মার্কিন কূটনীতিক ও সংবাদমাধ‌্যমগুলির দাবি, বন্ধু দেশগুলির বিরুদ্ধে ট্রাম্প ভেবেচিন্তেই নেতিবাচক কথা বলে থাকেন। এটা তাঁর কৌশল। এভাবেই ভোকাল টনিক দিয়ে তিনি একটা মানসিক চাপ তৈরি করেন যাতে তাঁর উদ্দেশ‌্য সিদ্ধ হয় বা কাজের কাজটি হয়। ভারত সফরে এসে তিনি ভারতের সঙ্গে এমন একটা বাণিজ‌্য চুক্তি করতে চাইছেন যাতে আমেরিকার লাভ হয় বেশি। আমেরিকার তৈরি হার্লে ডেভিডসন বাইক, নানা কোম্পানির মোটর গাড়ি, উন্নত প্রযুক্তি, সরঞ্জাম, কৃষিজাত পণ্য, চিকিৎসা যন্ত্রাংশ, ডিজিটাল পণ্য-সহ সবরকম পণ্যের উপর থেকে ভারত যাতে শুল্ক কমিয়ে নেয় বা তুলে নেয়। এটাই ট্রাম্পের আসল উদ্দেশ‌্য। আপাদমস্তক তিনি একজন সফল ব‌্যবসায়ী। তাই ব‌্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই তিনি ভারতের নিন্দে করে ভারত সরকারের উপর চাপ তৈরি করেছেন। এজন‌্য তিনি বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মানুষটি ভাল। কিন্তু সরকারের বাণিজ‌্য নীতি ও মনোভাব মোটেও ভাল নয়। ভারতকে 'শুল্কের রাজা' বলে আগেও সম্বোধন করেছেন ট্রাম্প। আগামী ২৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে দু’দিনের ভারত সফরে আসছেন। তাঁর উপস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে সামরিক, বাণিজ্যিক একাধিক চুক্তি হওয়ার কথা। কিন্তু নানা বিষয়ে মতানৈক্য ধরা পড়েছে দু’দেশের মধ্যে। যেমন, দিল্লি চায় ভারতীয় ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করুক ওয়াশিংটন। বিনা শুল্কে মার্কিন বাজারে নির্দিষ্ট কিছু ভারতীয় পণ্যকে ঢুকতে দেওয়া হোক। আমেরিকা এটা করতে না দিলে ভারতও মার্কিন পণ্যের উপর থেকে শুল্ক কমাবে না। অন‌্যদিকে, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া ও বাণিজ্যিক শত্রু চিনকে রুখতে ভারতকে পাশে পাওয়া জরুরি। ভারত হল আমেরিকার সামরিক ও আর্থিক জোটসঙ্গী। কিন্তু ভারসাম্যের খেলায় ভারতকে সেভাবে আমেরিকা পাশে পাচ্ছে না। আমেরিকার কথা ও নির্দেশ একতরফা শুনতে চায় না ভারত সরকার। এতে ক্ষোভ রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের। কারণ সংঘ পরিবার, গেরুয়া শিবির, কংগ্রেস, বাম দলগুলি ও বিরোধীদের দাবি, আমেরিকার কথা শুনে সরকার যেন কিছুতেই বাণিজ‌্যনীতি তৈরি না করে। বাণিজ‌্য চুক্তিতে ভারতের পাল্লা যেন ভারী হয়। তাই ট্রাম্পের সুরে সুর মেলাতে পারছেন না মোদিও।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও