নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে, বাড়ছে শঙ্কা
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ—রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি একের পর এক অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যাচ্ছে। যদিও বিএনপির অভিযোগের পাল্লা অনেক বেশি। ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাতে প্রচারণা শেষ হওয়ার আগেই ভোটের মাঠ অনেকটাই উত্তপ্ত। এ পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড আছে। দুই দলের অভিযোগ অভিন্ন। এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে। দুই দলকে বলেছি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে। দুটো ঘটনা ঘটেছে। এত বড়ো শহরে এটা নিয়ে নির্বাচনকে বানচাল করা, ব্যাহত করা বা বিনষ্ট করার কোনো কারণ ঘটেনি। ১ ফেব্রুয়ারি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ভোট হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মেয়র ও নির্দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। দুই একটি সংঘর্ষ ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেও আচরণবিধি প্রতিপালনে তেমন ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি ইসির। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর শঙ্কায় আছেন ভোটাররা। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে ৬৫ প্লাটুন বিজিবি মাঠে থাকবে। বিজিবির টিমের সঙ্গে ৩০ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একজন করে উত্তর সিটিতে ৫৪ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে ৭৬ জনসহ মোট ১৩০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামছে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরাও। ঢাকার দুই সিটিতে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে হামলা ও সংঘর্ষের পরও ভোটের পরিবেশ নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন সিইসি।