কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নজরুল ও হাসিনায় মুগ্ধ সালমান খান

মানবজমিন প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার সকাল থেকে ভিড়। সবার চোখ যেন খুঁজছিল সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফকে। এই দু’জনকে একনজর দেখতে সেই ভিড় ছিল রাত ১২টা পর্যন্ত। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের তারকা শিল্পীরা একে একে মঞ্চ মাতালেও সবার অপেক্ষা ছিল শুধু সালমান-ক্যাটরিনার জন্য। অবশেষে রাত সাড়ে ১০ টায় সবার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঞ্চে ওঠেন সালমান খান। তিনি আসতেই দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তার নাচের তালে তালে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা মিরপুর শেরে বাংলার মাঠ। বাইরেও দর্শকদের চিৎকার চলছিল সমান তালে। তার আগে মঞ্চে মাতাতে উঠেন ক্যাটরিনা কাইফ। দুই জনের পারফরম্যান্স শেষ হতেই মনে হচ্ছিল অনুষ্ঠান শেষ। কিন্তু তারা দু’জন ফের মঞ্চে আসেন। কথার জাদুতে মন ভরিয়ে দেন দর্শকসহ প্রধানমন্ত্রীরও। এই দুই তারকা মঞ্চে উঠতেই ছড়িয়ে পড়লো উত্তেজনা। যা অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিরাজ ছিল। শেষমুহূর্তে তাদের একসঙ্গে নাচ দেখার আমেজ নিয়ে বিদায় নিলো দর্শকরা। তার আগে অবশ্য বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে মন্তব্য করে দর্শকদের মন ভরিয়ে দেন সালমান ও ক্যাটরিনা। ক্যাটরিনা বলেন, ‘সালাম বাংলাদেশ, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ শুরুতেই সুপার স্টার সালমান বলেন, ‘আস্‌সালামুওয়ালাইকুম বাংলাদেশ, সালাম ঢাকা।’ এরপর প্রশংসায় ভাসান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যিই আপনাকে ভালোবাসি শেখ হাসিনা জি। তিনি তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। শুধু নামেই হাসিনা নন, বাস্তবেও তিনি হাসিনা (সুন্দর)। মনের দিক থেকে হাসিনা, দেখতেও হাসিনা। আমরা একটু আগেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁর সুন্দর হাসি, মর্যাদাবোধ, এমনকি কণ্ঠ অসাধারণ এবং তাঁর চোখ!’ মিরপুর শেরে বাংলার প্রেসিডেন্ট বক্সে বসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সালমান খানের এমন প্রশংসা শুনে হাসছিলেন। আর চোখের কথা শুনতেই তিনি হাত দিয়ে নিজের দুই চোখ ঢাকেন। তখন আবেগের এক অসাধারণ মুহূর্ত ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিজুড়ে। মূলত আগামী বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী। আর সেই কারণেই বিপিএলের এই আসরটি তার নামেই বিশেষ আয়োজন হিসেবে মাঠে গড়াবে। কাল শুরু হবে মাঠের লড়াই। প্রথম দিন মুখোমুখি হবে চার দল।তবে সবচেয়ে বড় চমকটা যেন সালমান খানের শেষ কথাতেই অপেক্ষা করছিল। হঠাৎ করেই জানালেন তিনি তার বাবার আদেশে একজনের নাম এই মঞ্চে নিতে চান। যার নাম না নিলেও হয়। তার মুখে শোনা গেল আমাদের জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাম। তিনি বলেন, ‘এখানে আসার আগে আমার বাবাকে বললাম, বাংলাদেশে যাচ্ছি, ঢাকা যাচ্ছি। তিনি আমাকে বললেন, মঞ্চে উঠলে অবশ্যই একজনের নাম নেবে। তিনি কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমার বাবা তাঁর অনেক বড় ভক্ত। তাঁর অনুমতি নিয়ে এখানে এসেছি। বাবার নির্দেশ অনুযায়ী আমি তাঁর (কবি নজরুল) নাম নিচ্ছি। তাঁর বেশির ভাগ কবিতাই আমার বাবার পড়া। তিনি বলেছেন আমি যেন তাঁর নাম না নেয়া ছাড়া মঞ্চ ত্যাগ না করি। তাঁর কড়া নিদের্শ ছিল এই নাম নেয়ার।’বলিউড প্রখ্যাত কমেডি অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক, গীতিকার সেলিম খান হলেন সালমান খানের বাবা। বাংলাদেশে আসার আগে সালমান খানের বাবা তাকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করতে ভুল করেননি এই সুপার স্টার। তার এই কথা শেষ হতেই সালমান ও ক্যাটরিনা দ্বৈত নাচের অনুরোধে রাজি হন। শেষ নাচের আগে ফের দু’জন বলে উঠেন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ অন্যদিকে অনুষ্ঠানে সূচির সময় এলোমেলো হয়। দেশীয় শিল্পীদের তুলনায় ভারতীয় শিল্পীদের প্রাধান্যও ছিল বেশি। বিশেষ করে বাংলাদেশের বাউল সংগীতের অন্যতম তারকা ও জাতীয় সংসদের এমপি মমতাজের গান করার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তার না আসার কারণ বিসিবির পক্ষ থেকেও জানানো হয়নি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দেশিদের অংশগ্রহন বাড়ানো যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বাড়ানো যেত। আসলে আরো অনেক শিল্পী ছিল। দুঃখজনক ভাবে সময়ের অভাবে অনেক কিছু করা যায়নি। আপনারা দেখেছেন দর্শকদের মাঠে প্রবেশ করতেই অনেক সময় লেগেছে। আর রাত ১১টার পর সময় বাড়ানো ঠিক হতো না।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও