কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকার নাটক করছে: ফখরুল

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকার নাটক করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই নাটক বাদ দিয়ে খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ফখরুল। গতকাল সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিবসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের সকল সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা এই যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন।সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে জঘন্য নাটক করছে সরকার। আমি বলব, দয়া করে নাটক বাদ দিয়ে দেশনেত্রীকে জামিন দিয়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করুন। না হলে দেশের মানুষ কখনই আপনাদের ক্ষমা করবে না। দেয়ালের লিখনের ভাষা পড়ুন। মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। তিনি বলেন, আমরা রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছিলাম বিজয় দিবস। সেই দিনটিকে যথাযথভাবে পালন করছি শুরু হতেই। কিন্তু আজকে একটি দল নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের মালিক মনে করে। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও আমরা সত্যিকারের স্বাধীন বাংলাদেশ পাইনি। যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দাবি করে তাদের দ্বারা দেশের গণতন্ত্র বার বার নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে দেশের চারটি বাদে সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিল। আজকেও তারা ভিন্ন লেবাসে বাকশাল কায়েম করেছে। আজকে গণতন্ত্রের নেত্রী যিনি দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রাম করেছেন। আজো সংগ্রাম করছেন, সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দী রেখেছে সরকার। ক্ষমতাসীনরা সংবিধান সংশোধন করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে সমস্ত আয়োজন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু দল ও ব্যক্তিকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য স্বাধীনতার স্বপ্ন ভেঙে খান খান করে দিয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীনরা ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি করে দেশ শাসন করছে। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আবারো আগের অবস্থা ফিরে এসেছে। পুলিশ নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। বর্তমানে দখলদারিত্ব মন্ত্রিসভার সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে উল্টাপাল্টা কথা বলছেন। অথচ ২০০৬ সালের নভেম্বরে আদালতে আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা আন্দোলন করে ভাংচুর করেছে। আমাদের নেতা শাহজাহান ওমরের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতির এজলাস লণ্ডভণ্ড হয়েছিল। আদালত শুনানি স্থগিত করেছিল। আজকে এসব ইতিহাস মিডিয়া লিখতে ও বলতে পারে না। আসলে দেশে আইনের শাসন নেই।সরকারকে পুরোপুরি ব্যর্থ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রতেকটি সূচক কমেছে। গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস। রপ্তানি কমেছে। দেশকে খালি কলসির দিকে নিয়ে গেছে সরকার। এখন দুর্বৃত্তদের কবলে দেশ। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। আসলে তারা জানে যে তাদের পতন অনিবার্য। এজন্যই টাকা পাচার করেছে। মানুষ কিন্তু জেগে উঠেছে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তারা বিজয় অর্জন করবে।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, মীর সরাফত আলী সপু, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান, কাজী আবুল বাশার, আকম মোজাম্মেল হক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, যুবদলের মামুন হাসান, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, জাসাসের হেলাল খান প্রমূখ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও