কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মহারাষ্ট্র সরকার গঠন সরকারের কাছে চিঠি চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে নানা নাটকীয় তৎপরতার মধ্যে মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হয়েছে। তবে এই সরকারকে ‘বেআইনি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে বিরোধী শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোট।শনিবার এই জোট সুপ্রিম কোর্টে বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবীশ সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবার নির্দেশ জারির আবেদন করেছিল। রোববার সেই আবেদনের শুনানি হলেও এদিন সুপ্রিম কোর্ট কোনো রায় দেয়নি। আদালতের তিন বিচারকের বেঞ্চ সরকার পক্ষকে সোমবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে দুটি চিঠি জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।রাজ্যপাল বিজেপিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়ে যে চিঠি দিয়েছিল ও ফডনবীশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাবি করে রাজ্যপালকে যে চিঠি দিয়েছিলেন, উভয় চিঠিই আদালতে জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তারা। বিচারপতি এন ভি রামানা, অশোক ভূষণ এবং সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানায়, চিঠি দুটো নিয়ে আজ সোমবার সকালে একদফা শুনানি হবে। শুনানি শেষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। রোববার মামলাকারীদের পক্ষে আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে দুই বর্ষীয়ান আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং কপিল সিব্বল দ্রুত সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। অতীতে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক মামলার উদাহরণ তুলে ধরে তারা দাবি করেছেন, এই ধরনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়েই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত ‘অসাংবিধানিক’ বলেও দাবি করেছেন তারা।ফডনবীশের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অজিত পাওয়ারের শপথ নেয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অজিত পাওয়ারকে গত শনিবারই এনসিপির পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার মধ্যরাতে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারিকে ঘুম থেকে তুলে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেবার আবেদন পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কাছে। তবে দ্রুত তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে তা রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের জন্য রাতেই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। অবশেষে ভোর ৫টা ৪৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতির শাসন তুলে নেবার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আর এর দুঘণ্টার মধ্যেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্র ফডনবীশ এবং এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেছে। তবে বিজেপি নেতাদের এই পদক্ষেপে সরকার গঠনের প্রস্তুতি শেষ করে ফেলায় শিবসেনা, এনসিপিবং কংগ্রেস জোট বিপাকে পড়ে গিয়েছে। এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার অবশ্য জানিয়েছেন, ভাইপো অজিত পাওয়ারের বিজেপিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে এনসিপি দলের কোনো সম্পর্ক নেই। রোববার শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোটের পক্ষে শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে দাবি করেছেন, শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস এবং নির্দল মিলিয়ে মোট ১৬৫ জন বিধায়ক তাদের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, তাদের জোটই সরকার গঠন করবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও