কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বদলায়নি শুধু ব্যাটিংয়ের চিত্র

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশ ভারত দ্বিতীয় টেস্টে ভেন্যু, সময়, বল সবকিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। ইন্দোরের পর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে দু’দেশ। লাল বলের বদলে খেলা হচ্ছে গোলাপি বলে। এতো কিছুর পরিবর্তন হলেও টাইগারদের ব্যাটিংয়ের চিত্রটা কিন্তু বদলায়নি। ইন্দোরে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হওয়ার পর গোলাপি বলের এই টেস্টে অসহায় আত্মসমর্পণ করলো মুমিনুলরা। কলকাতায় ১৭০ মিনিটে ১৮৩ বলে ১০৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ।ভারতের মাটিতে উপমহাদেশের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টের টস হয়েছে বিশেষভাবে তৈরি মুদ্রা দিয়ে। অপেক্ষাকৃত বড় আকারের রূপার মুদ্রা দিয়ে করা টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। ঐতিহাসিক টেস্টে ইন্দোরের মতো হতাশ করলেন ইমরুল কায়েস। মাত্র ৪ রান করে ইশান্ত শর্মার বলে এলবি’র শিকার হন। ওই ওভারের প্রথম বলে রিভিউ নিয়ে বেঁচেও যান তিনি। এলবির সিদ্ধান্তে রিভিউ নিলেও ভুল প্রমাণিত হন বাংলাদেশের এ ওপেনার। ৪ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। ইমরুলকে দিয়ে শুরু, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নে যাওয়ার মিছিলটা গতকাল থামেনি। ইমরুলের আউটের পর সাদমানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুমিলুল হক। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক আর সাদমানের জুটিও বেশিক্ষণ টেকেনি। ৭ বল খেলা মুমিনুল রানের খাতা খোলার আগেই উমেশ যাদবের শিকার। স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রোহিত শর্মা। মোহাম্মদ মিঠুন এসে ক্রিজে টিকতে পেরেছেন মাত্র ২ বল। যাদবের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড মিঠুন (০)। পরের ওভারে বিপর্যয় বাড়ে বাংলাদেশের। রানের খাতা খোলার আগেই মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত’ মুশফিকুর রহীম। খেলেছেন মাত্র ৪ বল। চা বিরতির আগে ৬ উইকেটে ৭৩ রান করে বাংলাদেশ। চা বিরতি থেকে ফিরে আর ৩৩ রান তুলতেই অলআউট। মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান মুমিনুল, মিঠুন ও মুশফিক কোনো রান করতে পারেননি। ১১ বলের মধ্যে ফিরেছেন এ তিন ব্যাটসম্যান। শুরুর চার ব্যাটসম্যানের স্কোর যথাক্রমে ৪, ০, ০, ০। এক সাদমানই যা একটু লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু ৫২ বল খেলা সাদমানকে (২৯) তুলে নেন উমেশ যাদব। তাকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত করেন এ পেসার। মাহমুদুল্লাহর উইকেট তুল নেন ইশান্ত শর্মা। এরপর শামির বলে মাথায় আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরেছেন লিটন। দ্বিতীয় সেশনে নাঈম হাসানের সঙ্গে ক্রিজে আসেন ইবাদত হোসেন। ৭ বলে মাত্র ১ রানে ইশান্ত শর্মার বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী লিটনের বদলি খেলোয়াড় নামায় সফরকারীরা, ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একাদশে না থাকা এই ক্রিকেটার হঠাৎ করে দলে জায়গা পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। ১৩ বলে দুটি চারে ৮ রান করে ইশান্তের বলে চেতেশ্বর পূজারাকে ক্যাচ দেন মিরাজ। ইশান্ত তার পরের ওভারে নাঈমকে ১৯ রানে বোল্ড করে ক্যারিয়ারে দশমবার পাঁচ উইকেট অর্জন করেন। আর গোলাপি বলে ভারতের প্রথম বোলার হিসেবে এই কীর্তি ডানহাতি পেসারের। পরের ওভারে শামির শিকার হন আবু জায়েদ রাহী। তার ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল রোহিত হাতে না রাখতে পারলেও পূজারা ক্যাচটি নেন। ১২ ওভারে ইশান্ত ৫ উইকেট নেন ২২ রান দিয়ে। উমেশ তিনটি ও শামি দুই উইকেট নেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও