কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লিটনের বদলে মিরাজ, নাঈমের বদলে তাইজুল

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

কলকাতায় নিজেদের ইতিহাসের গোলাপি বলের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। আলোচিত এই টেস্টে আরও একটি নতুন দৃশ্যের সাক্ষী হলো ক্রিকেট বিশ্ব। একদিনে মাঠে নামলেন বাংলাদেশের দুই ‘কনকাশন সাব’। আইসিসির নতুন নিয়মে মাথায় আঘাত পাওয়া লিটন কুমার দাসের বদলি হিসেবে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান মেহেদী হাসান মিরাজ। আর নাঈম হাসানের বদলে ‘কনকাশন-সাব’ হিসেবে মাঠে নামেন তাইজুল ইসলাম। মিরাজ-তাইজুল কলকাতা টেস্টের একাদশে ছিলেন না। টেস্ট ইতিহাসে এক ম্যাচে একই দলের দুজন ‘কনকাশন-সাব’ মাঠে নামার প্রথম ঘটনা।প্রথম দিনের চা বিরতির আগে মোহাম্মদ শামির একটি শর্ট ডেলিভারি আঘাত করে লিটনের হেলমেটে। মাঠে চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে যান তিনি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বেশ অস্বস্তিতে ভুগছিলেন। দ্বিতীয় দফায় আরেকবার ফিজিও’র সাহায্য নিতে হয় তাকে। এরপর আর লিটনকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। বিরতির পর আর মাঠে নামেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছেন ২৪ রান করে। চা বিরতির পর নাঈম হাসানের সঙ্গে মাঠে নামেন ইবাদত হোসেন। ইবাদত আউট হলে ‘কনকাশন-সাব’ হিসেবে মাঠে আসেন মিরাজ। ক্রিজে নিজের তৃতীয় বলে মাথায় আঘাত পান নাঈম হাসান। এবারও বোলার শামি। পরে ইশান্ত শর্মার বলে উইকেট খোয়ানোর আগে খেলা চালিয়ে যান নাঈম হাসান।আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কেবলমাত্র মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়দের বদলি নামানোর সুযোগ আছে। স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে ব্যাটসম্যানের বদলে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের পরিবর্তে বোলার নামতে পারেন। এ বছরের অ্যাশেজে প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্ব ‘কনকাশন-সাব’ দেখেছিল স্টিভেন স্মিথের মাথায় আঘাত পাওয়ার মাধ্যমে। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার টেস্টে স্মিথের বদলি হিসেবে নেমেছিলেন মার্নাস লাবুশেন। প্রথম ‘কনকাশন-সাব’ হিসেবে লাবুশেন সফল হলেও ব্যর্থ হয়েছেন মিরাজ। মাত্র ৮ রানে ফিরেছেন লিটনের জায়গায় ব্যাট করতে নামা এই ক্রিকেটার। আইসিসি’র নিয়ম যা বলছেখেলার সময় ঘাড় বা মাথায় আঘাত পাওয়ার ফলে কনকাশন হলে বদলি খেলোয়াড় মাঠে নামানো যাবে।কনকাশন কে নির্ধারণ করবেন? দলের মেডিকেল টিম। তাদের সিদ্ধান্তে ম্যাচ রেফারি কনকাশন চূড়ান্ত করবেন। বদলি ক্রিকেটারের ভূমিকা কী হবে? আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ি, বদলি ক্রিকেটারকে হতে হবে ‘লাইক-টু-লাইক’, অর্থাৎ, ব্যাটসম্যানের বদলে ব্যাটসম্যান, পেসারের বদলে পেসার, স্পিনারের বদলে স্পিনার, অলরাউন্ডারের পরিবর্তে অলরাউন্ডার। প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী যে কোনও ক্রিকেটার, যিনি ওই দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখেন, তিনিই কনকাশন-বদলি হিসেবে নামতে পারবেন। কে নামবেন, সেটি কে ঠিক করবে? কনকাশন-বদলি হিসেবে একজনের নাম জমা দেবে দলের মেডিক্যাল প্রতিনিধি। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি, যার সিদ্ধান্তের কোনও বদল হবে না, কোনও দল আপিলও করতে পারবে না সে সিদ্ধান্তের। যদি ‘লাইক-টু-লাইক’ বদলি না থাকে? এক্ষেত্রে ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় নেবেন ম্যাচ রেফারি। একজন অলরাউন্ডার একজন ব্যাটসম্যানের বদলি হিসেবে নামতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে সেই অলরাউন্ডার শুধু ব্যাটিং করতে পারবেন- এমন নিয়ম বেঁধে দিতে পারেন ম্যাচ রেফারি। মিরাজের ক্ষেত্রে যেমন হয়েছে- তিনি কলকাতা টেস্টে করবেন শুধু ব্যাটিং আর ফিল্ডিং-ই। আর যে ক্রিকেটারের বদলি নামানো হলো, সে ক্রিকেটার আর ওই ম্যাচে খেলতে পারবেন না। যেমন লিটন যদি পরদিন ফিট হয়েও থাকেন খেলার জন্য, তিনি আর নামতে পারবেন না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও