কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঘাটাইলে ‘ল্যাম্পি স্কিন’ রোগে আক্রান্ত শতাধিক গবাদি পশু

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

টাঙ্গাইলে ঘাটাইল উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে শতাধিক গবাদি পশু (খসঢ়ু ঝশরহ উরংবধংব) সংক্ষেপে ‘ল্যাম্পি স্কিন’ নামক ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অতীতে গবাদি পশুর নানাবিধ  রোগের খবর পাওয়া গেলেও নতুন এই রোগ সম্পর্কে তেমন  কোনো ধারণা নেই চিকিৎসদের। এ রোগের ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়েছে কি না সে বিষয়েও ধারণা নেই ডাক্তারদের। এ রোগের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকায় গরুর মালিকরা আতঙ্কিত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন ঘাটাইল প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভির জমাচ্ছেন গরুর খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা। ঘাটাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলে ঘাটাইল উপজেলায় পৌর এলাকায়, রসুলপুর, জামুরিয়া, দিঘলকান্দি, দিগর, ঘাটাইল ইউনিয়ন, সংগ্রামপুর ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক গবাদিপশু ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত। এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকার কারণে নিরাময় নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। জানা যায়, বর্ষার শুরুতে, শরতের শেষে এ  রোগের প্রকোপ দেখা যায়। এ রোগ হলে গবাদি পশুর শরীরে ব্যথা, জ্বর, লালা ক্ষরণ, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামড়ার গোলাকার পিণ্ড ধারণ করে। এ ছাড়া পশুর লোম উঠে যায়, পানি কম খায়। এর সঠিক প্রতিকার না থাকায় প্রতিরোধক হিসেবে মশারি, টিনচার, বায়োডিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে ঘাটাইল প্রাণিসম্পদ অফিস। এ রোগ মশা, মাছি, আটালি, আক্রান্ত পশুর লালা, নাক-চোখের ডিসচার্জ, ষাঁড়ের বীর্য, আক্রান্ত গরু মহিষের দুধ এবং ব্যবহারিত ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে ছড়ায়। অনুকূল পরিবেশে এ ভাইরাস ছয় মাস পর্যন্ত জীবিত থাকে। ভাইরাস জনিত এ চর্মরোগে শুধুমাত্র গরু-মহিষ আক্রান্ত হয়। ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গবাদিপশু দুর্বল হয়ে ওজন কমে যায়, দুধ উৎপাদন হ্রাস পায় এবং চামড়ার গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়। দিগর ইউনিয়নের মো. নাসিম মানবজমিনকে জানান, আমার ৪টি গরুর মধ্যে ১টা ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বাকি গরুগুলো নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আছি। আরেক খামারি দড়িচৈথট গ্রামের বাসিন্দা জানান, আমার গাভী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ঘাটাইল প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল থেকে ওষুধ নিয়েছি। গরু পালনকারীরা জানান, ‘ল্যাম্পি স্কিন’ আক্রান্ত গরুর প্রথমে পা ফুলে যায়। এরপর জ্বর হয়ে ২-৩ দিনের মধ্যে গোটা শরীর বসন্তের মতো ফোসকা দেখা  দেয়, যা পরে ঘায়ে পরিণত হচ্ছে। ‘ল্যাম্পি স্কিন’ রোগের প্রকোপ সম্পর্কে ঘাটাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন বাহাউদ্দিন সরোয়ার রিজভী জানান, প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় সাধারণত এ রোগের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা আমরা এখন দিতে পারছি না। তাই প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ১৪টি ইউনিয়নে এলএসপি, সিল, এই  টেকনিশিয়ানদের নিয়ে সেমিনার করে সচেতনতা তৈরির ব্যবস্থা করবো। এখন পর্যন্ত এ রোগে কোথাও গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত এ রোগের কোনো ভ্যাকসিন নেই। এই উপজেলায় কতগুলো গরু আক্রান্ত হয়েছে তা জরিপ করা হয়নি। তবে অনেক স্থান থেকেই গরু ‘ল্যাম্পি স্কিন’ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ রোগের সুনির্দিষ্ট প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় প্রাদুর্ভাবের শঙ্কা আরো বাড়ছে। তবে শঙ্কিত না হয়ে খামারিদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও