কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শ্রীপুরে সেতুতে ধস দুর্ভোগে গ্রামবাসী

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাটিকাটা নদীর ওপর নির্মিত দীর্ঘকায় ১৫০ ফুট সেতুটির বিভিন্ন অংশ খসে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর উপর দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে আছে কয়েক মাস ধরে। এতে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ তৈরি হলেও তা দেখার যেন কেউ নেই।স্থানীয়দের ভাষ্য, উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বলদীঘাট ও ধামলই গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে মাটিকাটা নদী। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে এই নদীর উপর বলদীঘাট বাজারের সঙ্গেই একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বিগত ১৯৯১ সালে। এরপর থেকে এই সেতু ধরে চলাচল করতো এই দুই গ্রামের মানুষ ছাড়াও পাশের ভালুকা উপজেলার উড়াহাটি, স্বজনগাঁও ও পারুলদিয়া গ্রামের লোকজন। সম্প্রতি এই সেতুর কয়েকটি অংশে ফাটল ধরেছে, খসে পড়েছে কিছু অংশও। এই সেতুতে চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় ভয়ে গত কয়েক মাস ধরে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার গ্রামবাসী।কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আলম খান বলেন, প্রথম থেকেই এই সেতুটি অপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। ১৫০ ফুট দীর্ঘকার এই সেতুর প্রস্থ ছিল ৮ ফুট। একদিক দিয়ে গাড়ি এলে অপর দিকে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এছাড়াও কাজও ছিল নিম্নমানের। আমরা সে সময় প্রতিবাদ করেছিলাম, কিন্তু কাজ হয়নি। সম্প্রতি সেতুটির কিছু অংশ খসে পড়ায় আমাদের আশঙ্কায় সত্যি হলো।বর্তমান সদস্য শফিক হায়দারের ভাষ্য, এই সেতুকে ঘিরে ২ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। হঠাৎ করে এই সেতুতে ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় লোকজন। গত কয়েক মাস ধরে ছোট ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগের মাত্র আরো বেড়েছে। স্থানীয় লোকজনকে বিকল্প পথে প্রায় ৬ কিলোমিটার ঘুরে পথ চলতে হচ্ছে।বলদীঘাট জেএম উচ্চবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস হায়দার জানান, এই সেতুতে ঝুঁকির কারণে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ভোগ বেড়েছে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের। নদীর এপাড় থেকে ওপাড় পণ্য পরিবহনেও খরচ বেশি করতে হচ্ছে বিভিন্ন লোকজনকে। জনদুর্ভোগ লাগবে দ্রুত এই সেতুটির সংস্কার করা উচিত।ধামলই গ্রামের আলী আহমদ জানান, ধামলই গ্রাম থেকে হাজারো নারী ও পুরুষ শ্রীপুরের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় শ্রম বিকিয়ে থাকে। এই সেতুটির কারণে চলাচল সহজলভ্য হয়ে উঠায় তারা বাড়ি থেকেই যাতায়াত করতো। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কারণে যানচলাচল বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিল্প কারখানার শ্রমিকরা।এই এলাকার কৃষক শামসুল হকের ভাষ্য, ধামলই গ্রাম জুড়েই আধিক্য রয়েছে পোল্ট্রি শিল্পের। বাড়িতে বাড়িতে রয়েছে খামার। এই খামারের মালামাল পরিবহন ও কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। সেতুটির সংস্কার করলে দুর্ভোগ কমে আসবে।কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ জানান, কৃষিপ্রধান এই এলাকার গ্রামীণ অর্থনৈতিক পরিচালনা অব্যাহত রাখতে এই সেতুটির গুরুত্ব অনেক। বর্তমানে এই সেতুর কিছু অংশ খসে পড়ায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যানচলাচল বন্ধ থাকায় গ্রামীণ অর্থনীতিরও ক্ষতি হচ্ছে। প্রাথমিক অবস্থায় সেতুটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের শ্রীপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুস সবুর জানান, জনদুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, শিগগিরই সেতুটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও