কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

উদ্বোধনের অপেক্ষায় রংপুর মেরিন একাডেমি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রংপুর মেরিন একাডেমি। শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলছে মনোরম সাজে সজ্জিতকরণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই মেরিন একাডেমি উদ্বোধনকে ঘিরে নেয়া হচ্ছে ব্যাপক উদ্যোগ। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা যেহেতু রংপুর পীরগঞ্জের পুত্রবধূ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেহেতু এ মেরিন একাডেমি উদ্বোধন তিনিই করবেন। রংপুর গণপূর্ত অধিদপ্তর জানায়, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে রংপুর, সিলেট, পাবনা ও বরিশাল জেলার মেরিন একাডেমি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ চার জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম রংপুর মেরিন একাডেমি উদ্বোধন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল গাফ্‌ফার। নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল আলম জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি মনে করেন। বহুল প্রত্যাশিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় আনন্দিত রংপুরের মানুষ। মানবসম্পদ উন্নয়ন, বেকার সমস্যা সমাধান, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মেরিন একাডেমি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে সুষম উন্নয়ন এবং পশ্চাৎপদ উত্তরবঙ্গের সাধারণ জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের চার জেলায় মেরিন একাডেমি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। রংপুরের পীরগঞ্জের ৮নং রায়পুর ইউনিয়নের ফলির বিল এলাকায় ২০১২ সালের জুলাই মাসে রংপুর মেরিন একাডেমির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শুরুতে জমি অধিগ্রহণ ও দখল হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তা সমাধান করা হয়। ১শ’ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরিন একাডেমি নির্মাণ প্রকল্প ২০১৫ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন দু’বার গণপূর্তের রেট সিডিউল পরির্বতন হওয়ায় সংশোধিত ডিপিপি প্রণয়ন ও অনুমোদনে সময়ক্ষেপণ হয়। সেই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি ও সংশোধনের প্রয়োজন পরে। পরবর্তীতে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে মেরিন একাডেমি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার তত্ত্বাবধান করছে গণপূর্ত বিভাগ। ১০ একর জমির উপর এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবন, ডরমেটরি ভবন, অত্যাধুনিক সুইমিং পুল, প্যারেড গ্রাউন্ড, মসজিদ, বিভিন্ন আবাসিক ভবনসহ ৩৫টি অবকাঠামো রয়েছে। অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ভবনের পাশাপাশি রয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন পুকুর। ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে একাডেমিক ভবনের ছাদে স্থাপন করা হয়েছে বিশাল সোলার প্যানেল। এ প্রকল্পে ঢাকাসহ স্থানীয় ১৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়ন, নির্বাচনী ইশতেহার ও এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রংপুর অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্রহণ করবে। দেশে ও বিদেশে চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ নাবিক ও নৌ-প্রকৌশলী তৈরি করা, দেশের সব জেলায় সমুদ্র বিষয়ক জ্ঞান চর্চার সুযোগ  তৈরি, দক্ষ-বিশেষজ্ঞ নাবিক ও নৌ-প্রকৌশলীদের বিদেশে প্রেরণের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধান মেরিন একাডেমির মূল উদ্দেশ্য। এদিকে, মেরিন একাডেমিকে ঘিরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন ফলির বিল এলাকার মানুষ। গতকাল রংপুর মেরিন একাডেমি সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্যারেড গ্রাউন্ডের সামনে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সুইমিং পুলের চারপাশে টাইলস বসানো হচ্ছে। ডরমেটরি, একাডেমিক ভবনের টুকটাক কাজ সেরে নিচ্ছেন মিস্ত্রিরা। মেরিন একাডেমির আশপাশে দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গণপূর্ত বিভাগ রংপুরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী মেরিন একাডেমির কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। চলতি বছরে এই প্রতিষ্ঠানের সব অংশের কাজ সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে যেন উদ্বোধন করা যায় আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। মেরিন একাডেমি উত্তরবঙ্গের বেকার সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। এখানে ৫০ জন নৌ-প্রকৌশলী ও ৫০ জন নাবিক প্রশিক্ষিত হবেন প্রতি বছর। এসব দক্ষ জনশক্তি দেশসহ বিদেশে গিয়ে কাজ করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশে পাঠাবে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এর শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছি। এখানে ২শ’ জন স্থায়ী ও ১শ’ জন অস্থায়ী জনবল কাজ করবে। যা স্থানীয় বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও