কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাংলাদেশ ম্যাচে ‘ভারত-পাকিস্তান’ উত্তাপ পাচ্ছেন কোহলিরা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ইডেন টেস্টের শুরুর চার দিনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ৭০ হাজার ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়াম আজ প্রায় কানায় কানায় ভরে যাবে। ভারতের মাঝে বাংলাদেশের দর্শকরাও বড় একটা অংশ গ্যালারি দখল করে নিবে এমনই আশা। সকালে মাঠে যখন বিরাট কোহলির দল অনুশীলনে তখন গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে লাল সবুজের পতাকা উড়াচ্ছেন টাইগার-সমর্থক শোয়েব আলী। একবার চিৎকার করছেন বাংলাদেশ বলে আরেকবার কোহলি বলে। ঠিক তার পাশে দাঁড়িয়ে আরো জোরে চিৎকার করছেন ভারতের কড়া সমর্থক সুধীর ঘোষ। ম্যাচের আগের দিনই যেন গ্যালারিতে বাজছে দুই দলের যুদ্ধ দামামা। একটা সময় পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ হলে যা হতো এখন সেই উত্তেজনা বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে। গোলাপি বলের টেস্ট যেন গোটা কলকাতায় ছড়াচ্ছে গনগনে আগুনের উত্তাপ। যার তাপটা ভারতের দলপতি বিরাট কোহলির গায়েও লেগেছে দারুণভাবে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেন, ‘এখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (২০১৬) ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে যেমন অনুভব হয়েছিল এখনো তাই মনে হচ্ছে। গোলাপি বলের টেস্ট নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। তখনো ইডেনে এমন উন্মাদনা, রোমাঞ্চ তৈরি হয়েছিল। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এসেছিলেন। পুরো স্টেডিয়াম পূর্ণ ছিল। আমার মনে হয় এবারও পরিবেশ একই থাকবে।’ বলার অপেক্ষা রাখে না মাঠের বাইরের গোলাপি উত্তাপ প্রভাব ফেলছে ক্রিকেটারদের ওপরও। প্রথমবারের মতো দিন-রাতের টেস্ট খেলতে নামা ভারতের অধিনায়ক বিরাটও বলছেন কতটা চাপ তৈরি হবে ক্রিকেটারদের মাঝে। তিনি বলেন, ‘ভীষণ স্নায়ুচাপ থাকবে, একই সঙ্গে রোমাঞ্চকরও হবে। অবশ্যই ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এটা বিরাট উপলক্ষ। আমরা সৌভাগ্যবান, অসাধারণ এই শুরুতে আমরা থাকতে পারছি।’ তবে গোটা কলকাতা যখন গোলাপি বলের টেস্ট জ্বরে পুড়ছে কোহলি কিন্তু মনে মনে দিনের আলোর টেস্টকেই বড় করে ভাবছেন। সে কথাটা লুকালেন না তিনি। তার মতে টেস্ট ক্রিকেটকে জাগিয়ে তুলতে গোলাপি বলে দিন-রাতের খেলা একমাত্র মাধ্যমও হতে পারে না। তিনি বলেন, ‘আমার মতামত হচ্ছে টেস্ট খেলার এটাই (গোলাপি বল) একমাত্র উপায় হওয়া উচিত নয়। সেটি হলে সকালের সেশনের যে স্নায়ুচাপটা থাকে সেটি হারিয়ে যাবে। আপনি টেস্টে রোমাঞ্চ আনতে পারেন। কেবলই মানুষকে বিনোদন দিতে টেস্ট আয়োজন করতে পারেন না। টেস্টের মজা তো ওখানেই, এক সেশনে ব্যাটসম্যানের কষ্ট হবে, বোলাররা ব্যাটসম্যানদের দাঁড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে চাইবে না। যদি মানুষ তাতে সাড়া না দেয়, সেটি ভালো নয়।’ আজ গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্টের প্রথদ দিন। খেলা শুরু হবে দুপুর ১ টায়। চলবে স্থানীয় সময় রাত ৮টা পর্যন্ত। এমন একটি ম্যাচ যেখানে দুই দলই নতুন। কিন্তু তার আগে নিতে পারেনি বড় কোনো প্রস্তুতি। প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলেই নামতে হচ্ছে মাঠে। ভারতের অধিনায়ক মনে করেন এমন একটি ম্যাচের আগে অবশ্যই প্রস্তুতি ম্যাচ থাকা প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা নির্ভর করে কখন টেস্টটা হচ্ছে। যদি প্রথমে এটা হতো (গোলাপি বলের টেস্ট) তাহলে সিরিজের আগে প্রস্ততি ম্যাচ করা যেত। একটা হতো লাল বলের প্রস্তুতি ম্যাচ, আরেকটা গোলাপি বলের।’ ১৪ নভেম্বর ইন্দোরে শুরু হয় সিরিজের প্রথম টেস্ট। তিনি দিনেই ম্যাচটি শেষ হয়ে যাওয়াতে কিছু প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ হয়েছিল। এরপর কলকাতায় এসে দুদিন। সব মিলিয়ে চার দিনের প্রস্তুতি নিয়ে দুই দলকে মাঠে নামতে হচ্ছে গোলাপি বলের যুদ্ধ জয়ে। তাই কোহালি মনে করেন দুই ম্যাচের মাঝে আরো একটু লম্বা বিরতি থাকার প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ম্যাচ গোলাপি বলে হওয়ায় দুই টেস্টের মাঝখানে আরো বিরতি থাকা দরকার ছিল। এবং সেই বিরতির মধ্যে গোলাপি বলের একটা দিবারাত্রির প্রস্তুতি ম্যাচ দরকার ছিল। সিরিজের আগে হলে এর কোনো মানে থাকতো না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও