কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মাঠের চ্যালেঞ্জই মুমিনুলের ভাবনা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

গোলাপি, গোলাপি আর গোলাপি....। সব প্রশ্নই যেন গোলাপি বলকে ঘিরে। দিন-রাতের টেস্ট ঘিরে কলকাতায় চলছে এক মহা আয়োজন। গোটা শহর সাজানো হচ্ছে গোলাপি আলোয়। বাদ যায়নি ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামও। প্রথম দিন আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাদ থাকবেন না ভারতের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে ক্রিকেটের রথি-মহারথিরাও। আরো কত কী! এসব কি প্রভাব ফেলছে ক্রিকেটারদের মাঝেও? টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ শেষ পর্যন্ত বলেই ফেললেন তিনি গোলাপি বলের ভাবনায় মগ্ন নয়। তার সব চিন্তা- মাঠে কিভাবে খেলবেন, আর নিজেদের প্রমাণ করবেন। বাইরে এই ম্যাচ নিয়ে কি হচ্ছে, কারা আসছে সেই সব নিয়ে ভাবার সময় নেই তাদের। মুমিনুন হক বলেন, ‘বাইরে কি হচ্ছে না হচ্ছে, আমার মনে হয় না পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটা আমাদের প্রভাবিত করবে। এই চাপ কোনোভাবেই আসা উচিত না। যে যার কাজ ঠিক মতো করছি। চাপ চলে আসার কোনো সুযোগ নাই আমাদের।’ আজ দুপুর দেড়টায় শুরু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের প্রথম ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ। টস দুপুর ১টায়। দুই দলের সমান চেষ্টা ছিল মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে গোলাপি বলের রহস্য ভেদ করার। অনুশীনের মধ্য দিয়ে সেটি করেছেনও অনেকটা। টেস্টের সেরা দলও ঠিকভাবে জানে না কেমন হচ্ছে গোলাপি বলের আয়োজন। আর এই বিষয়টিকেই সুযোগ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ। তিনি বলেন, ‘দুই দলের কেউ গোলাপি বলে খেলেনি। এটা দুই দলের জন্যই নতুন। আমার মনে হয়, দুই দলই এই ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত। আপসেটের দিকে তাকিয়ে নেই। আমরা সুযোগ কাজে লাগানোর দিকে তাকিয়ে আছি। ম্যাচ নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। আমরা এই ম্যাচের জন্য খুব ভালো প্রস্ততি নিয়েছি। এই প্রস্তুতির সুফল আমরা ম্যাচে পাবো বলেই মনে করি।’তবে সবকিছু ছাপিয়ে একটাই প্রশ্ন। দিন-রাতের ম্যাচে গোলাপি বলে চ্যালেঞ্জটা কী হবে! টাইগার অধিনায়ক জানালেন সেই চ্যালেঞ্জটা। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় গোলাপি বলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ফ্লাড লাইটের আলোয় খেলা। বলের যে ঔজ্জ্বল্য থাকে এর জন্য বল দেখতে সমস্যা হতে পারে ব্য্যাটসম্যানদের। একই সমস্যার জন্য ফিল্ডিংও চ্যালেঞ্জিং হবে। ব্যাটিংয়ে যদি আপনার পূর্ণ মনোযোগ না থাকে তাহলে সমস্যা হবে। আমার মনে হয়, প্রতিটি বলে শতভাগ মনোযোগী থাকতে হবে তাহলে ভালো কিছু হবে। কেমন হচ্ছে এগুলো নিয়ে আমাদের ভেতরে আলাপ হয়। আমার ধারণা ভুল হতে পারে। আমি কখনও গোলাপি বলে খেলিনি। ম্যাচে আর অনুশীলনে কিন্তু অনেক পার্থক্য হতে পারে মাঠের খেলায়।’ সত্যিকথা বলতে দুই দলের অধিনায়কই সন্ধ্যার সময়টা নিয়ে চিন্তিত। যাকে বলা হচ্ছে গোধুলি আলো। একদিকে সূর্য অস্ত যাবে অন্যদিকে জ্বলে উঠবে ফ্লাডলাইট। দুই মিলিয়ে সৃষ্টি হবে এক রহস্যময় আলোর। যে কারণে সেই সময় ব্যাটিং ও ফিল্ডিংটা সমস্যাই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইডেনে বাংলাদেশ দলের প্রথম দিন রাতে অনুশীলনের সুযোগ ছিল না। সেদিন ভারতের দখলে ছিল সন্ধ্যার সময়টা। নিয়ম অনুসারে ম্যাচের আগের দিন গতকাল সন্ধ্যায় অনুশীল করে বাংলাদেশ আর বিকালে ভারত। তবে গোধুলি বেলা নিয়ে টাইগাররা ভেবে চাপ নিতে রাজি নয়। তারা নিজেদের সাধারণ অনুশীলনটাই সেরে নিয়েছে বলে জানান মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘এসব নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ইন্দোরে অনুশীলন করেছি সন্ধ্যায়, আজও (গতকাল) করবো। চ্যালেঞ্জ থাকবেই তবে আমার মনে হয়, এটা মাথায় না নেয়াই ভালো। দলের সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমার মনের হয় ভালোই হবে।’ সফরে প্রস্তুতি ম্যাচ না থাকা নিয়েও এখন আফসোস করতে চান না টাইগার অধিনায়ক। তবে থাকা উচিত ছিল বলেও তিনি জানান। মুুমিনুল বলেন, ‘সফরে আমরা কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি। গোলাপি বলেও কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ নেই। আমরা মূলত মানসিক দিকটায় বেশি গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। গোলাপি বলে কোনো টেস্ট খেলার আগে অবশ্যই একটা প্রস্তুতি ম্যাচ থাকা উচিত।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও