কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গোলাপি চ্যালেঞ্জে কলকাতায় বাংলাদেশ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ইন্দোর ছেড়ে গতকালই বাংলাদেশ দল পা রেখেছে কলকাতায়। এখানেই ২২শে নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে টাইগাররা। যেখানে অপেক্ষা করছে গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ। ইন্দোর টেস্টে ইনিংস ও ১৩০ রানের হার যন্ত্রণার কাঁটা হয়ে আছে বাংলাদেশ শিবিরে। তবে নিজেদের নয়া ইতিহাসে ঘুরে দাঁড়াতে প্রত্যয়ী মুমিনুল হকের দল। ভুলের পুনরাবৃত্তি তারা করতে চান না। সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের শহর ইন্দোরে ব্যাট-বলের তাল-লয় ঠিক ছিল না টাইগারদের। কিন্তু ইডেনের গোলাপি ইতিহাসে নিজেদের রাঙাতে প্রস্তুত বলেই বিশ্বাস করেন পেসার আল আমিন হোসেন। ইন্দোর টেস্টে একাদশে ছিলেন না তিনি। তবে ইডেনে মাঠে নামার সম্ভাবনা আছে তার। কলকাতায় আসার আগে আল আমিন বলেন, ‘আমরা সবাই উন্মুখ হয়ে আছি কলকাতায় গোলাপি বলের নতুন ইতিহাসে প্রবেশ করার জন্য। আমাদের জন্য যেমন নতুন তেমনি ভারতের জন্যও এটি নতুন। দুই দলই মুখিয়ে টেস্টটি খেলতে। আর দুই দলের জন্য নতুন বলে ভালো একটা চ্যালেঞ্জ হবে। অতীতে যে ভুল হয়েছে সেগুলো শুধরে নিতে চাই আমরা। শেষ টেস্ট খারাপ হয়েছে এমনটা ভাবলে এই ম্যাচও কঠিন হয়ে যাবে। তাই নতুনভাবে শুরু করতে চাই।’ আল আমিন বলেন, ‘গোলাপি বলের সঙ্গে লাল বলের অনেক পার্থক্য। মনে হচ্ছে সিমটা বেশ শক্ত হবে এবং শাইন করা যায় খুব সহজে। সবকিছু মিলিয়ে বলটা ভালোই হবে মনে হয় আমার কাছে। আর আমি মনে করি এমন একটি (গোলাপি বল) বলে আমাদের পেস বোলারদের দায়িত্ব বেশি। ভালো জায়গায় বল করতে হবে। ভারতকে সুযোগ দেয়া যাবে না। কারণ ওদের সব ব্যাটসম্যানই টপ ক্লাসের। টেস্টের সেরা কযেকজন ব্যাটসম্যান আছে ভারত দলে। আমার মনে হয়ম, পিংক বলে বোলারদের জন্য বড় একটি পরীক্ষা। এই কন্ডিশনে আমরা যদি ভালো করতে পারি ইনশাল্লাহ টেস্টটাও দারুণ হবে।’ইন্দোর টেস্টে পেসারদের উপর  ভরসা রাখতে পারেনি বাংলাদেশ দল। আল আমিন ও মোস্তাফিজের মতো সেরা বোলার ছিলেন দলের বাইরে। তবে আরেক পেসার আবু জায়েদ দলে সুযোগ পেয়ে সর্বোচ্চ অবদান রাখেন। প্রথম ইনিংসে তার শিকার চার উইকেট। টিম ম্যানেজম্যান্টের  পক্ষ থেকে জানানো হয় ফিট না থাকায় আল আমিন ও মোস্তাফিজকে একাদশে রাখা হয়নি। এ নিয়ে আল আমিন বলেন,‘টিম ম্যানেজম্যান্ট কখন কাকে নিয়ে কি চিন্তা করে এটি তাদের বিষয়। তবে আমরা স্কোয়াডে পেস বোলার সবাই টেস্ট খেলার জন্য ফিট আছি।’ ইন্দোর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৫০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অল আউট হয় ২১৩ রানে। ইডেনেও ব্যাটসনম্যানদের জন্য থাকছে চ্যালেঞ্জ। আল আমিন ব্যাটসম্যানদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানদের জন্য নতুন বলের চেয়ে পুরানো বলে বেশি কঠিন হবে। যখন ফ্লাডলাইট জ্বালানো হবে তখন বল অনেক মুভ করবে। আমরা অনুশীলনে তাই দেখছি।’ আল আমিন বলেন, ‘আমি মনে করি ইডেন টেস্টে বোলারদের বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা যদি ভালো করতে পারি টেস্টের ফল আমাদের দিকে আসতে পারে। পেসার হই আর স্পিনার, যদি ভালো জায়গাতে বল করতে না পারি এই টেস্ট কিন্তু কঠিন হয়ে যাবে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও