কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রচারণার অভাবে সিনেমা ব্যবসায় মন্দা

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

প্রতি সপ্তাহেই বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে কোনো না কোনো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ সিনেমা কখন মুক্তি পাচ্ছে আবার কখন প্রেক্ষাগৃহ থেকে নেমে যাচ্ছে তা দর্শকরা ঠিকভাবে জানতেই পারছে না। সিনেমা মুক্তির আগে প্রচারণারও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। একটি সিনেমায় নতুন নায়ক-নায়িকা অভিনয় করলেও তাদেরকে নিয়ে প্রচারণা চোখে পড়ছে না। ফলে দর্শক নিয়মিত সিনেমা হলে এখন সিনেমা দেখতে যাচ্ছে না। চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা রোজিনা বলেন, আমি যখন চলচ্চিত্রে প্রথম নায়িকা হিসেবে কাজ করতে এসেছিলাম তখন আমাকে নিয়ে আলাদা করে প্রেস কনফারেন্স করা হয়েছিল। আমাদের সিনেমা নির্মাণের পর শুধু পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে না, রিকশাতে পেইন্ট করে মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করা হয়েছিল। সেই তুলনায় এখন নতুন সিনেমার তো কোনো প্রচারণাই চোখে পড়ে না। এমনকি জানতেও পারি না যে, কখন কোন সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। তাহলে দর্শক জানবে কীভাবে? এই তারকা অভিনেত্রী আরো বলেন, বাজারের অনেক পণ্যই তো সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় হওয়ার পরও নিয়মিত সেসবের বিজ্ঞাপন টেলিভিশনে এবং বিভিন্ন পত্রিকায় দেয়া হয়। কারণ তারা মনে করে প্রচারেই প্রসার। চলচ্চিত্রের দর্শকদের ফেরাতে সিনেমার প্রচারণা টিভি, নিউজপেপার, অনলাইন সব মাধ্যমে করা উচিত। শুধু ফেসবুকে পোস্ট দিলে হবে না। দেশের সব মানুষের কাছে সিনেমার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে পৌঁছাতে হবে। এরইমধ্যে কমে গেছে চলচ্চিত্র, প্রেক্ষাগৃহ, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলীর সংখ্যা। ছবি মুক্তির আগে পোস্টার, মাইকিং, ফেসবুকসহ ছবির অভিনয়শিল্পীরা বিভিন্নভাবে প্রচারণার মাধ্যমে দর্শককে আকৃষ্ট করতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন বদলে গেছে দৃশ্যপট। কোনোরকম প্রচারণা ছাড়াই মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা। এমনিতেই চলচ্চিত্রের ব্যবসার অবস্থা মন্দা, তারমধ্যে প্রচারণা না থাকায় এ শিল্পটি আরো স্থবির হয়ে হয়ে পড়ছে। মেগাস্টার উজ্জল থেকে আজকের শাকিব খান। (১৯৮২-২০১৯)। এই ৩৭ বছরে মাঝে জসিম, ইলিয়াস কাঞ্চন, অমিত হাসান, মান্না, সালমান শাহ, শাকিব খানকে নিয়ে কাজ করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহ আলম কিরণ। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ডেরও সদস্য। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, সেন্সরে বৃহস্পতিবার সিনেমা দেখে ছাড়পত্র পাওয়া মাত্রই শুনি শুক্রবার ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রচার ছাড়া সিনেমা প্রতিনিয়ত রিলিজ হচ্ছে। দর্শকরা জানতেই পারছে না ঠিকমতো যে, এ সিনেমায় কারা অভিনয় করছেন বা সিনেমাটি কি ধরনের। সিনেমার প্রচারণাটা খুবই জরুরি। চলচ্চিত্রের প্রচারণা সব সময় ছিল। বিশাল মহরত হচ্ছে, বড় কেক কাটা হচ্ছে তবে সিনেমার প্রচারণায় কোনো বাজেট থাকছে না। আর বিশাল মহরতের অনেক সিনেমা শেষ পর্যন্ত শেষও হয় না। এমনটিও দেখেছি আমি। তাই কথা হচ্ছে, আমার পণ্যটির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গেলে প্রচার লাগবেই। জয়া আহসানের ‘দেবী’ ছবির প্রচারণায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। মুক্তির আগ পর্যন্ত ব্যাপক প্রচারণায় এগিয়ে ছিল ‘দেবী’ টিম। এ ছবির প্রচারণার জন্য অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও জয়া আহসান অভিনয় থেকে কিছুদিন বিরতিতে ছিলেন। খেলার মাঠে দর্শক গ্যালারিতে ছবির চরিত্রের সাজে হাজির হয়েছিলেন চঞ্চল। টিভি চ্যানেলে সংবাদ পাঠের মাধ্যমে ‘দেবী’ সম্পর্কে জানান দিয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী ও জয়া আহসান। প্রযোজক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, একটি সিনেমাকে যদি চারটি ভাগে ভাগ করা যায় তাহলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তা হচ্ছে চিত্রনাট্য সঠিকভাবে করা, নির্মাণ, ডিস্ট্রিবিউশন এবং সবশেষ ছবিটির প্রচারণা। এই নিয়মে যদি কোনো সিনেমা মুক্তি দেওয়া যায় তাহলে কম-বেশি সেটি প্রেক্ষাগৃহে চলবে। তাই প্রচারণায় পিছিয়ে থাকা যাবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও