কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কালাইয়ে মুরগির বাজারে ধস দিশাহারা পোল্ট্রি খামারিরা

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলাতে মুরগি পালনে উৎপাদনের শীর্ষে থাকলেও গত দুই-সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম অস্বাভাবিক হারে কমেছে। আর বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধরনের কোম্পানির পোল্ট্রি খাদ্যসহ মুরগি পালনের বিভিন্ন উপকরণের দাম। বর্তমান মুরগির দাম কম হওয়ায় শত শত পোল্ট্রি খামারি দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। চাকরি না পেয়ে অনেক শিক্ষিত যুবক ও যুবতী মনে শত স্বপ্ন নিয়ে একটু লাভের আশায় বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বা বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে খামার দিয়েছেন। লাভ তো দূরের কথা, বর্তমান বাজারে মুরগি বিক্রি করে আসল পুঁজিও ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন উপজেলার শত শত খামারি।  উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে ও সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট, জিন্দারপুর ও আহম্মেদাবাদ এই ৫টি ইউনিয়নে মোট ৬৯৪টি পোল্ট্রি খামার রয়েছে। এর মধ্যে সোনালী (পাকিস্তানি) খামার আছে ৬৬০টি এবং ব্রয়লার খামার আছে ৩৪টি। ঐসব এলাকাতে মুরগি পালন করে উৎপাদনের শীর্ষে থাকলেও গত দুই-সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনে মুরগির বাজারে ধস নেমেছে। বর্তমান মুরগির পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা দরে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে। এর ফলে মুরগি পালনের মাধ্যমে মুরগির উৎপাদন করে বাজারে মুরগি বিক্রি করতে গিয়ে অনেক পোল্ট্রি খামারি এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে অনেক পোল্ট্রি খামারি তাদের মুরগি বিক্রি করে লোকসান দিয়ে বসে আছেন। আবার অনেকে এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশা ধরেছেন। মুরগির দাম কম থাকায় পোল্ট্রি খামারিরা চরম বিপদে পড়েছেন। উপজেলার পুনট পাঁচপাইকা গ্রামের সোনালী মুরগির খামারি ইমরান বলেন, ধার-দেনা করে ২ হাজার সোনালী মুরগি পালন করেছিলাম। মুরগিগুলো বড় ও অনেক ভালো হয়েছিল। গত সপ্তাহের মুরগিগুলো বিক্রি করে আমার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। আর এভাবে লোকসান হলে ভবিষ্যতে আমি মুরগি পালন করবো কিনা তা নিয়ে ভাবছি।কালাই পৌরসভার কালিমহর মহল্লার ব্রয়লার মুরগির খামারি আলী আকবর বলেন, আমার খামারে প্রায় ১ হাজার ব্রয়লার মুরগি আছে। বর্তমান বাজারে মুরগির যে দাম, এই মুহূর্তে মুরগিগুলোর বিক্রি করলে অনেক টাকা লোকসান হবে। তাই এখন ভেবে পাচ্ছি না এসব মুরগি কি করবো। কালাই পৌরসভার পূর্বপাড়ার মহল্লার মুরগি খামারিদেরও একই অবস্থা।কালাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মালেক বলেন, খামারিদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি। তাদের বেশি করে মুরগি পালন করতে উৎসাহ দিচ্ছি। এই উপজেলার রোগ বালায় না থাকাই মুরগি অনেকেই পালেন। বর্তমান বাজারে মুরগির দাম একটু কম। আশা করি আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে মুরগির দাম বৃদ্ধি হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও