কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মোংলা বন্দরে পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

মোংলা বন্দরে আসা পণ্য শতভাগ পরীক্ষা করায় এ বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১০ ভাগ পণ্য পরীক্ষার নির্দেশনা মানছে না মোংলা বন্দর কাস্টমস হাউজ। এতে করে মোংলা বন্দর ব্যাবহারে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে পিছিয়ে পড়ার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর, ঢাকা আইসিডি, পানগাঁও, বেনাপোল স্থলবন্দরসহ দেশের সকল আন্তর্জাতিক বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা আমদানি ও রপ্তানি পণ্য আনা-নেয়া করে থাকেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক আদেশে এসব পণ্যের ১০ ভাগ র‌্যানডাম সিলিকশনের মাধ্যমে পরীক্ষণের জন্য কাস্টমসকে নির্দেশ দেয়। বছরের পর বছর ধরে এনবিআরের এই নির্দেশনা জারি থাকলেও দেশের দ্বিতীয় সমুদ্‌্র বন্দর মোংলায় চলছে উল্টো নিয়ম। মোংলা কাস্টমস হাউজ এই বন্দর থেকে আমদানি রপ্তানি পণ্যে শতভাগ পরীক্ষণের নিয়ম চালু রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও এনবিআরের আদেশ মানছে না মোংলা কাস্টমস হাউজ। এই অবস্থায় দেশের বড় বড় আমদানি রপ্তানিকারকরা মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে সক্ষমতা থাকার পরও দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় অনেকাংশে পিছিয়ে পড়ছে মোংলা বন্দর। মোংলা বন্দর ব্যহারকারী ও বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন লিটন সাংবাদিকদের বলেন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা কাজে লাগাতে ত্বরিৎ খালাস পদ্ধতি ও ১০ ভাগ পণ্য পরীক্ষণের এনবিআরের আদেশ ৪৭ ও ৪৮ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে এক দেশে দুই নিয়ম থাকতে পারে না। এছাড়া এই বন্দরে এলসিএল কার্গো আনার জন্য মোংলা বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করার পরও কোনো পক্ষ থেকে সাড়া না মেলায় ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এলসিএল পণ্য আমদানি করছে। আর এ কারণে এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের উপর থেকে চাপ কমানোসহ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা কাজে লাগাতে দ্রুত এই বন্দরের সকল পণ্য এনবিআরের নির্দেশনা মতে ১০ ভাগ র‌্যান্ডডাম সিলেকশনের মাধ্যমে পরীক্ষণের ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। এ বন্দর ঘিরে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র এখনই বন্ধ করা না গেলে মোংলা বন্দর আবারো হুমকির মুখে পড়তে পারে আশঙ্কা এই ব্যবসায়ী নেতার। এই বিষয়ে মোংলা বন্দর কাস্টমস কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্য ১০ ভাগ পরীক্ষণের বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে হলে এখন এনবিআরকে নতুন করে নির্দেশনা দিতে হবে। কারণ, আগে থেকেই মোংলা বন্দরে শতভাগ পণ্য পরীক্ষণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কাস্টমসের একার পক্ষে এই বন্দরে শতভাগ থেকে ১০ ভাগ পণ্য পরীক্ষণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। এনবিআরই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও