কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘আন্ডারডগ’ তকমার সুযোগ নিতে চান জামালরা

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

এশিয়ান কাপ ও বিশ্বকাপের যৌথ বাছাইপর্বে আজ কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটা দুই দলের জন্যই মহাগুরুত্বপূর্ণ। পরের রাউন্ডে যেতে দুই দলের কাছেই জয়ের বিকল্প নেই। ওদিকে আট বছর পর কলকাতায় খেলতে আসছে ভারতীয় দল, ফলে এই ম্যাচ নিয়ে কলকাতার মানুষের প্রত্যাশাও আকাশচুম্বী। উত্তাল জনসমুদ্রের সামনে বাংলাদেশ কি পারবে তাদের সেরা ফুটবল খেলতে? নাকি নিজেদের দর্শকের চাপে ভেঙে পড়বে ভারত। সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে বাংলাদেশ সময় রাত সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হতে যাওয়া এই ম্যাচে।  ভারতের সঙ্গে ম্যাচটি খেলতে চারদিন আগেই কলকাতার মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। টানা তিনদিন যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনের দুই নম্বর মাঠে অনুশীলন করেছে জামাল-মামুনুলরা। কাল সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো ম্যাচ ভেন্যুতে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে ভারত বধের ছক এঁকেছেন বাংলাদেশের হেড কোচ জেমি ডে। তার আগে নবোটেল হোটেলে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা বলেন এই বৃটিশ কোচ। প্রতিপক্ষের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেও জেমি ডে বলেন, নিশ্চিতভাবে এ ম্যাচে ফেভারিট ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফুটবল খেলছে দলটি। কাতারের সঙ্গে ড্র তার জ্বলন্ত উদাহরণ। তাছাড়া নিজেদের মাঠে ৮৫ হাজার দর্শকের সামনে খেলবে ওরা। সমকিছু মিলিয়ে আমরাই আন্ডারডগ। এ ম্যাচে এটাকেই প্লাস পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ‘এ ম্যাচে আমরা নয়, ওরা চাপে থাকবে। ম্যাচে এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই আমরা। এশিয়ান কাপ ও বিশ্বকাপের যৌথ বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপ ‘ই’ তে সবচেয়ে বাজে অবস্থানে আছে ভারত আর বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ভারতের সংগ্রহ ১ পয়েন্ট আর বাংলাদেশের শূন্য। ওমানের বিপক্ষে হারের পর এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারকে রুখে দিয়ে ১ পয়েন্ট ঝুলিতে ভরেছে ভারত। আফগানিস্তানের সঙ্গে এক গোলে হারের পর অসাধারণ ফুটবল খেলেও  কাতারের কাছ থেকে পয়েন্ট নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এসব এখন অতীত ভাবছেন দু’দলের ফুটবলাররা। এমনিতে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। প্রতিবেশী দেশ হওয়ার কারণে দুই দলই চাচ্ছে নিজেদের ফুটবলীয় আধিপত্যের কথা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে। আবার গ্রুপের সবচেয়ে নিচের দুই দলের জন্য এ ম্যাচ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম জয় পাওয়ার উপলক্ষ। তবে সে লড়াইয়ে ভারতই এগিয়ে। র‌্যাঙ্কিংয়ের দিক দিয়ে তো বটেই, দুই দলের মাঠের খেলাতেও পার্থক্য দৃশ্যমান। ভারতের র‌্যাঙ্কিং যেখানে ১০৪, বাংলাদেশ আছে তার ৮৩ ধাপ পেছনে। এ ম্যাচে ভারত স্বাগতিক, খেলা ৮৫ হাজার দর্শকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। বলা চলে মোটামুটি সব দিক দিয়েই বাংলাদেশ একটু ব্যাকফুটে। পরিসংখ্যানেও ঢের পিছিয়ে জামাল ভূঁইয়ারা। দু’দলের ২৫ বারের সাক্ষাতে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র তিনটি ম্যাচে। ভারত জিতেছে ১২ ম্যাচে। বাংলাদেশের সর্বশেষ জয়টি ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে জিততে পারেনি ভারত। ২০১৩ সালে কাঠমান্ডুর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আতিকুর রহমান মিশুর গোলে খেলার প্রায় শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু যোগ করা সময়ে বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া একটা ফ্রিকিকে ম্যাচে সমতা ফেরান সুনীল ছেত্রী। ২০১৪ সালে গোয়ায় প্রীতি ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হয়। সে ম্যাচে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় ভারত। পরে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এরপর আত্মঘাতী গোলে ভারতের ভাগ্য-বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়েছিল ২-১ গোলে। পরে আবারও সমতায় ফেরে ভারত। এর সঙ্গে স্বস্তির বিষয় হলো, ফুটবলে র‌্যাঙ্কিং শেষ কথা নয়। নিজেদের মাঠের সুবিধাও সব সময় সব দল নিতে পারে না। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ খোদ ভারতই দিয়েছে গত ম্যাচে। র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪২ ধাপ এগিয়ে থাকা গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল, ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারকে তাদের মাঠে রুখে দিয়েছে। এই ম্যাচ থেকেই চাইলে প্রেরণা নিতে পারেন জামাল ভূঁইয়ারা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও