কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মিরপুর ইউপি নির্বাচন নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী ৫ বিদ্রোহী

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

দীর্ঘ ১৬ বছর পর বহুল প্রতীক্ষিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী সোমবার (১৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রায় দেড় মাসব্যাপী প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠকসহ ব্যাপক প্রচারণা শেষে এখন সর্বত্র চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ। কে হচ্ছেন পরবর্তী চেয়ারম্যান। এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। একাধিক প্রার্থী থাকলেও শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, মিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কাদির (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক শেরীন (আনারস), জাপা (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী আব্বাস মিয়া (লাঙ্গল) আঞ্জুমানে আল ইসলাহ মনোনীত প্রার্থী শওকত হোসেন (চশমা) স্বতন্ত্র্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাহাব আলী (টেলিফোন) ও আলতাবুর রহমান আলতা (মোটরসাইকেল)। এছাড়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য ৪৬ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে প্রথম দিকে বিএনপির একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপির কোনো প্রার্থী। দীর্ঘ দেড় মাসব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা শেষে শনিবার রাত ১২টায় বন্ধ হয়ে গেছে নির্বাচনী সকল প্রচার কাজ। কাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নির্বাচনী চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কাদির ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেরীনের আনারস প্রতিকে মূল লড়াই হবে। তবে শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবুল হক শেরীনের পক্ষেই জয় পাল্লা ভারী হতে পারে বলে স্থানীরা বলছেন। কারণ হিসেবে তারা ভোটার মনে করেন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মাঠে কাজ করছেন মাহবুবুল হক শেরীন। ছিলেন মানুষের সুখ-দুঃখে। পুরো এলাকায় তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। এছাড়াও বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকায় সুবিধাজনক স্থানে আছেন এই প্রার্থী। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আব্দুল কাদির হঠাৎ করে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন। এর পূর্বে তার নাম মাঠে শোনা যায়নি। তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিকট পরিচিত হলেও মাঠ পর্যায়ে সাধারণ ভোটারদের কাছে ব্যক্তি পরিচয় অনেকটাই কম বলে জানান স্থানীয়রা। তবে শেষ পর্যন্ত নৌকার প্রতীকের জন্যই মূল লড়াই আওয়ামী লীগের এই দুই প্রার্থীর মধ্যে জমে উঠবে এমন আভাস দেখা গেছে।চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক যুক্তরাজ্য প্রবাসি মাহবুবুল হক শেরীন বলেন, জনগণের চাপে বাধ্য হয়েই প্রার্থী হয়েছি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানকার জনসাধারণের সুখ-দুঃখে মিশে আছি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে। মাঠে কাজ করেছি নিরসলভাবে। ইন্‌শাআল্লাহ আধুনিক মিরপুর ইউনিয়ন গঠনের জন্য জনগণ আমাকে বিজয়ী করবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও