কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পাকুন্দিয়ায় পোকা দমনে জনপ্রিয় ‘আলোক ফাঁদ’

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

ফসলের মাঠে পোকার উপস্থিতি নিরূপণে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আলোক ফাঁদ। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ২৮টি ব্লকে একযোগে আলোক ফাঁদ করা হয়। মাঠ ফসলের প্রায় ১২ থেকে ১৫ ভাগ ফসল পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যায়। পোকার দ্বারা ফসল যাতে নষ্ট হতে না পারে, সেজন্য কৃষি বিভাগের এই উদ্যোগ ‘আলোক ফাঁদ’। আলোক ফাঁদ তৈরি করার জন্য ফসলের মাঠ হতে ৫০ মি. থেকে ১০০ মি. দূরে ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার ৩টি বাঁশের বা লোহার খুঁটি একসঙ্গে করে স্থাপন করে উপরের দিকে আলোর উৎস হিসেবে চার্জযুক্ত সাদা বাল্ব ঝুলিয়ে আলো জ্বালিয়ে রাখতে হয় এবং নিচে একটি পাত্রে পানি রেখে তাতে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি রাখতে হয়। সন্ধ্যার পর মাঠ জুড়ে যখন অন্ধকার নেমে আসতে থাকে তখন আলোক ফাঁদের আলোর ঝলক দেখে পোকামাকড় আলোতে চলে আসে। আলোর নিচে রাখা ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানিতে পড়ে পোকামাকড় মারা যায়। এটাই হলো ‘আলোক ফাঁদ’। গত রোববার সন্ধ্যায় আদিত্যপাশা বাগানবাড়ি সিআইজির উদ্যোগে আদিত্যপাশা বাগানবাড়িতে এমন একটি আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়। সেখানে গিয়ে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিমুল হক সোহাগ, সিআইজির সভাপতি আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ সিআইজির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিমুল হক সোহাগ বলেন, আলোক ফাঁদ স্থাপন করে পোকামাকড়ের উপস্থিতি নিরূপণ করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে কৃষকরা জানতে পারে এই এলাকায় কি ধরনের পোকার উপস্থিতি রয়েছে। পোকার ধরন বুঝে সে অনুযায়ী দমন ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বিঘ্নে কৃষক যাতে আমন ফসল ঘরে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে বিভাগীয় নির্দেশনা মোতাবেক অত্র ব্লকে নিয়মিত আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল হাসান আলামিন বলেন- উপজেলার প্রত্যেক ব্লকে নিয়মিত আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে পোকামাকড়ের উপস্থিতি লক্ষ্য করা হচ্ছে। কোথাও কোনো প্রকার পোকার উপস্থিতি দেখা গেলে সে অনুযায়ী দমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এতে পোকামাকড় দমনে কৃষকের আর্থিক খরচ কম হয় এবং ফসলের উৎপাদন ভালো হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও