কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিপ টেস্টে অভিজ্ঞদের ছাড় দিলো বিসিবি

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

প্রথম দফায় ফিটনেস টেস্টে (বিপ টেস্ট) পাস করতে পারেননি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। গতকাল দ্বিতীয় দফায় টেস্টে ১০ পয়েন্ট তুলেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে আগে বলা হয়েছিল জাতীয় ক্রিকেট লীগে খেলতে হলে বিপ টেস্টে ন্যূনতম ১১ পয়েন্ট পেতে হবে। সে হিসাবে দ্বিতীয় দফাতেও ফেল আশরাফুল। তবে এবারের মতো অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছাড় দিলো বিসিবি। যারা বিপ টেস্টে ন্যুনতম ১০ কিংবা তার কাছাকাছি যেতে পেরেছেন তাদের সবাইকে পাস করিয়ে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বোর্ডের ঘনিষ্ঠ সূত্র। আশরাফুলের সঙ্গে অভিজ্ঞ স্পিনার আবদুর রাজ্জাক, অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ও আরাফাত সানিও উতরে গেছেন বিশেষ বিবেচনায়। গতবার বিপ টেস্টের বেঞ্চমার্ক ছিল ন্যুনতম ৯। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করতে এবার বেঞ্চমার্ক বাড়িয়ে ১১ করা হয়। প্রথম দফায় সেই স্কোর তুলতে ব্যর্থ হন অনেকে। ফেল করা ক্রিকেটারদের মধ্যে কাল ৩৫ জন দ্বিতীয় দফায় বিপ টেস্টে দেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২.১ স্কোর করেন দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার আল-আমিন। বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস তুলেন ১১.৫। ইমরুল অবশ্য প্রথম দফায় ফেল করেননি। শিশুপুত্রের অসুস্থতার কারণে তখন বিপ টেস্ট দিতে পারেননি ইমরুল। আশরাফুল ১০.১ আর রাজ্জাক, আরাফাত সানি ও নাসির হোসেন ১০ পয়েন্টের কাছাকাছি যান। প্রথম দফায় ৯.৪ পয়েন্ট পেয়ে ফেল করেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার এবং অভিজ্ঞ স্পিনার রাজ্জাক। ৯.৭ পয়েন্ট পান আশরাফুল এবং অলরাউন্ডার নাসির, ইলিয়াস সানি ৯.৫ এবং আরাফাত সানি ১০.৯ পয়েন্ট পেয়ে পাস করতে ব্যর্থ হন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলা নাদিফ চৌধুরী এবং মোহাম্মদ শরিফও ১১ তুলতে পারেননি প্রথম দফায়। নাদিফ ১০.৪ ও শরিফ ১০.৬ পয়েন্ট পান। দ্বিতীয় দফায় প্রায় সবারই বিপ টেস্টে উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। বেঞ্চমার্কের ব্যাপারে এইচপির ট্রেইনার তুষার কান্তি হাওলাদার বলেন, ‘প্রায় ৩০-৩৫ জনের মতো বিপ টেস্ট দিয়েছে আজ। যারা একটু ভালো, মানে আশরাফুলদের মতো যারা আছে তাদের উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে। যদিও একদম বেঞ্চমার্ক ছুঁতে পারেনি তারা।’ প্রথম দফায় বেশ আগেভাগে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন আশরাফুল। টেস্টে ফেল করার পর তিনি জানান যে নার্ভাসনেস আর ক্লান্তি ভর করেছিল তার ওপর। দ্বিতীয়বার বিপ টেস্টে নিজের উন্নতিতে খুশি আশরাফুল। তারকা এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। সবশেষ ৯.৭ তুলেছিলাম। আজ ১০ দিয়েছি। ১১ পয়েন্ট তোলা অসম্ভব কিছু না। সবার উন্নতি হয়েছে। আমরা যারা আজ পরীক্ষা দিলাম, সবারই আগেরবারের চেয়ে ভালো নম্বর উঠেছে।’এর আগের জাতীয় লিগেও ক্রিকেটারদের বিপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছিল বিসিবি। যদিও সেবার ৯ পয়েন্ট পেয়েও সুযোগ পেয়েছিলেন অনেক ক্রিকেটার। বেঞ্চমার্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান আশরাফুল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা সবার জন্যই ইতিবাচক। গত বছর বেঞ্চমার্ক ৯ ছিল। এখন ১১ হয়েছে। সবাই কিন্তু চেষ্টা করছে। জাতীয় লীগকে এখন সবাই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। ১১ নম্বরের জন্য ১০-১২ দিন আগে থেকেই সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে হয়ত বিপ টেস্টের পাস স্কোর আরো বাড়বে।’বিসিএল শুরু হচ্ছে ১০ই অক্টোবর। যদিও শুরু হওয়ার কথা ছিল ৫ই অক্টোবর। ১লা অক্টোবর প্রথম দফায় ফিটনেস টেস্ট দিয়েছিলেন খেলোয়াড়রা। দুই দফাতেও যারা পাস করতে পারেননি তাদের জন্য টুর্নামেন্টের ভেতরেই পুনরায় বিপ টেস্ট দিয়ে পাস করার সুযোগ থাকছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। আর অভিজ্ঞতা ও বয়স বিবেচনায়ও কিছুটা ছাড় পাবেন ক্রিকেটাররা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও