কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নীলফামারীর সিভিল সার্জন দপ্তর অবরুদ্ধ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মধ্য বয়সী এক রোগীর শরীরে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বিক্ষুব্ধ লোকজন কয়েক ঘণ্টা নীলফামারীর সিভিল সার্জন দপ্তর অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করায় অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, শনিবার রাত ১০টায় শহরের নতুন বাজার কলোনি এলাকার আবদুল ওহাবের স্ত্রী মল্লিকা বেগমকে (৫০) অসুস্থ অবস্থায় সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হয়। অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ সময় জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক না থাকায় উপস্থিত কর্মচারীরা মল্লিকা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে পাঠায়। এ সময় ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স ছায়া রানী মল্লিকা বেগমকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করেন। এদিকে রাত ১২টার দিকে রোগীর লোকজন যখন বুঝতে পারেন স্যালাইনটি মেয়াদ উত্তীর্ণ ততক্ষণে স্যালাইনের বেশিরভাগই শরীরে পুশ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বরত নার্সের সঙ্গে রোগীর লোকজনের বাকবিতণ্টা শুরু হয়ে যায় এবং ঘটনাটি এলাকায় চাউর হয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি প্রথমে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করলেও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ায় তা ভেস্তে যায়। একই সময়ে অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন রোগীকে চলতি বছরের মে মাসে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন শরীরে পুশরত অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালের স্টোরে মেয়াদ উত্তীর্ণ আরো ওষুধ ও স্যালাইন রয়েছে এমন অভিযোগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতেই হাসপাতালের স্টোর সিলগালা করা হয়। এদিকে গতকাল সকালে বিষয়টি নিয়ে রোগীর লোকজনের সঙ্গে এলাকার শত শত মানুষ এক হয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়ে সিভিল সার্জন দপ্তর অবরুদ্ধ করেন। এ সময় চরম উত্তেজনা দেখা দিলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্তণে আনেন। এব্যাপারে নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. রঞ্জিত কুমার বর্মণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে ডা. এএসএম রেজাউল করিমকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়। অপর দিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র দাবি করেছে, দীর্ঘদিন থেকে বিশেষ করে রাতের বেলা রোগীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন, ওষুধ প্রদান ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ছাড়াও দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা রোগীদের সঙ্গে অসদাচরণ করে আসছেন। এ ছাড়া গর্ভবতী কোনো রোগী এলেই নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে রংপুর কিংবা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন হাসপাতালে কর্মরত একটি চক্র। ওদিকে অভিযুক্ত নার্স ও হাসপাতালের স্টোর কিপার মাজেদুল ইসলাম গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও