ধামরাইয়ে বাড়ছে খুন-ধর্ষণ
ঢাকার ধামরাইয়ে ব্যাপকহারে বাড়ছে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। ধর্ষণের কবল থেকে রক্ষা পচ্ছে না প্রবাসীর স্ত্রী, প্রতিবন্ধী ও শিশুরা। এসব ঘটনায় মামলা হলেও সুবিধাজনক স্থানে নেই মামলার বাদীরা। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে খুনের ঘটনা। গত ২০ দিনে ধামরাইয়ে সংঘটিত হয়েছে তিনটি খুন। যদিও পুলিশ এসব খুনের ঘটনা আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে। তারপরও এলাকায় বইছে চরম আতঙ্ক। জানা গেছে, গত ১৩ই সেপ্টেম্বর এক প্রবাসীর সুন্দরী স্ত্রীকে ভালো বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মেঘবাজার গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে জসীম (৩০) ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা এলাকায় ডেকে নিয়ে কয়েক বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে। ১১ই সেপ্টেম্বর ধামরাইয়ের মান্দারচাপ এলাকার ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হৃদয় (২৫) নামে এক লম্পট। পরে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দেয়। ১লা সেপ্টেম্বর চৌহাট এলাকার এক ভ্যানচালকের প্রতিবন্ধী মেয়েকে পার্শ্ববর্তী ধুল্ট গ্রামের সাখাওয়াতের ছেলে জসীম বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। একই দিনে আপন ফুপা সোনা মিয়া ধর্ষণ করেছে ভাতিজিকে। ধামরাইয়ের নান্নার ইউনিয়নের ঘোড়াকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খুনের ঘটনা। গত মঙ্গলবার ধামরাইয়ের জয়পুরা গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে জয়পুরা এনএনবি ইটভাটার ম্যানেজার আবদুল হান্নান (৪০) নিজ বাড়ি থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরের দিন ভোররাতে মহাসড়কের পাশে নাগরাইল বিলে তার লাশ পাওয়া যায়। ৮ই সেপ্টেম্বর ধামরাইয়ের শরীফবাগ গ্রামের হৃদয় ২২ নামে এক যুবকের হাতে পায়ে ইট বাঁধা লাশ পাওয়া যায় বংশী নদীতে। ১লা সেপ্টেম্বর ধামরাইয়ের বাসনা চানখালী গ্রামের বালু ব্যবসায়ী ফরিদের ক্ষতবিক্ষত লাশ মিলে বাড়ির পাশে। একের পর এক খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ধামরাইয়ে। স্থানীয়রা জানান, পুলিশ তৎপরতা জোরধার হলে লোকালয়ে এসব খুনের ঘটনা কম হবে।