কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ইউএনও’র স্ট্যাটাসে সড়ক মেরামতের টাকা ফেরত

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের খাগড়াছড়ি মহাসড়ক সংলগ্ন চারিয়া-মুরাদ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চার হাজারেরও অধিক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু গত সাত বছর ধরে সড়কটি বেহাল। বিশেষ করে ইটবাহী গাড়ি চলাচলের কারণে সড়কটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ওপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সড়কটি মেরামতের জন্য প্রকল্প বরাদ্দ দেয় এলজিইডি। কিন্তু কোনো কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ তুলে নেয় মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল আবছার। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরজমিন সড়কটি পরিদর্শন করে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে লেখেন, আমি যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি এখানে ডাবল ব্রিক সলিং রোড হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে। কিন্তু ভুক্তভোগী লোকজন বলবেন কই রাস্তা তো দেখছি না, আমি বলব চক্ষু মেইলা দেখেন। ফাইলে আছে এটা নিশ্চিত হয়ে বলছি। কাগজে-কলমে সমাপ্ত এ রাস্তার কোন খোঁজ নেই, কাজ না করে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এই সড়ক মেরামতের টাকা। এ স্ট্যাটাসের পরপরই ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল আবছার প্রকল্পের অধীনে বরাদ্দকৃত ২ লাখ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ফেরত দেন। এরপর রাতে ইউএনও আবার পোস্টে লিখেন, ডাবল ব্রিক সলিং রাস্তার ২ লাখ টাকা উদ্ধার। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, এসব কাজে আমার কোনো হাত নেই। এদিকে আমাদের হাটহাজারী প্রতিনিধি আবু সাহেদ সড়কটি পরিদর্শন করে জানান, প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্য চারিয়া-মুরাদ সড়কের অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এসব খানাখন্দে আটকে পড়ছে যানবাহন। উল্টে গিয়ে পথচারী আহত হচ্ছে অহরহ। কিছু কিছু স্থানে ইটের খোয়া দিয়ে জোড়াতালি দেয়া হলেও যান চলাচলের উপযোগী নয়। হেঁটে চলাও দায় এ সড়কে। অথচ এ সড়ক দিয়ে চারিয়া মাদ্রাসার ১০ হাজারের অধিক ছাত্র, চারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ছাড়াও প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া আর্মি ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জ, এম এম আগা লিমিটেড ফার্ম, কাসিলা বাংলাদেশ লিমিটেড ফার্মসহ মির্জাপুর ইউপির তিনটি ওয়ার্ডের জনসাধারণের যাতায়াত এ সড়ক দিয়ে।  সড়কে অটোরিকশা চালক বাদশা মিয়া বলেন, সড়কটি গাড়ি চলাচল ও মানুষের যাতায়াতে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে গাড়ি পড়ে যানবাহনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, যাউপার্জন করছি তার বড় একটি অংশ গাড়ি মেরামতে ব্যয় করতে হচ্ছে। হাটহাজারী উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৩ সাল থেকে এ সড়কের কোনো মেরামত কাজ হয়নি। চারিয়া বাজার থেকে পশ্চিমে আর্মি ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জ পর্যন্ত ২৪৯০ মিটার আরসিসি দ্বারা উন্নয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ উক্ত চেইনেজে চারিয়া বাজার অবস্থিত বিধায় প্রায় সময় জলাবদ্ধতা থাকে। অবশিষ্ট অংশে বিভিন্ন চেইনেজে ডিনসি কার্পেটিং দ্বারা মেরামতের প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সমস্ত স্থানে এজিং নাই, সেহেতু নতুন এজিং স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রয়োজন অনুসারে সে সমস্ত অংশে এজিং পিকিং আফ করা হয়েছে সে সমস্ত অংশে এজিং রি-সিটিং করা হয়েছে। এই রকম একটি কারিগরি প্রতিবেদন দিয়ে চট্টগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে পাঠানো হলেও এর কোনো সুরাহা মেলেনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে