কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সোলার পাওয়ার প্লান্টের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

এক যুবলীগ নেতা ও তার কয়েকজন অনুসারীর নামে চাঁদাবাজির মামলা করার কারণে তেঁতুলিয়ার সিমপা সোলার পাওয়ার প্লান্ট নামের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাদের হুমকিতে ওই প্রতিষ্ঠানটির কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী প্রতিষ্ঠান থেকে বের হতে পারছে না। বিদেশি প্রকৌশলীরাও নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে ইউপি ট্যাক্সের নাম করে মাঝিপাড়া এলাকায় প্রতিষ্ঠিত প্যারাগন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এ্যকুয়া বিল্ডার্সের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত চাঁদা নিয়ে আসছে। সম্প্রতি প্যারাগন গ্রুপ এখানে সিমপা পাওয়ার প্লান্ট নামে আরেকটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। বর্তমানে সিমপা সোলার পাওয়ার প্লান্ট ১০ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে তেঁতুলিয়া উপজেলায় সরবরাহ করছে। যুবলীগের ওই নেতা চলতি মাসের ১৪ই সেপ্টেম্বর রাতে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় কোম্পানি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে ওই রাতেই ডাহুক ব্রিজের সামনে প্যারাগন গ্রুপের মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মুরগি বহনকারী একটি ট্রাকের জোর করে গতিরোধ করে ওই নেতা ও তার ১০-১২ জন অনুসারী চাকু দিয়ে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে সিকিউরিটি গার্ড ও ড্রাইভারকে ট্রাক থেকে নিচে নামিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে তাদের এলোপাতাড়ি মারপিট করা হয়। পরে সবার মোবাইলগুলো নিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ড্রাইভারের প্যান্টের পকেট থেকে ৪২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৫ই সেপ্টেম্বর সিমপা পাওয়ার প্লান্টের সিকিউরিটি অফিসার শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় এই নেতার হুমকিতে কোম্পানির কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। বিদেশি প্রকৌশলীরা কোম্পানিতে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশ। এরা হলো মাঝিপাড়া এলাকার আলী হোসেন ও প্রামানিকপাড়া গ্রামের শাহ আলম। এদিকে অভিযুক্তরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কোম্পানির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম। মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের ষড়যন্ত্রের শিকার। আশরাফুল বলেন, প্যরাগন গ্রুপের সঙ্গে ২০১৮ সালে সোলার পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের জন্য মালামাল সরবরাহের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তিনি ৪১ লাখ টাকার ইট, পাথর, বালি সরবরাহ করেছেন। প্রতি সপ্তাহে বিল দেয়ার কথা থাকলেও কোম্পানির কাছে ৯ মাস থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা চাওয়ার জন্য তারা চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তেঁতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির ঘটনাটি সত্য। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে