কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জোর করে ‘ছক্কা’ মারা যায় না

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫ ওভারেই স্কোর বোর্ডে ১৩৮ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। তখনই হাতে অবশিষ্ট ৭ উইকেট। তাই শেষ পাঁচ ওভারে প্রত্যাশা ছিল বড় সংগ্রহের। ক্রিজে ছিলেন দলের সিনিয়র ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহীম। তবে দু’জনই আউট হয়েছে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায়। আরো একটু সহজ করে বললে ছয়ের মার হাঁকাতে গিয়ে তারা ক্যাচ দিয়েছেন বাউন্ডারিতে। একই কাজ করেছেন তরুণ আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরো ৪ উইকেট পতন হলেও স্কোর বোর্ডে শেষ ৫ ওভারে জমা হয় মাত্র ৩৭ রান। এই চারজনের চেষ্টা ছিল ছক্কা বা চারের মার হাঁকিয়ে দ্রুত রান তোলা। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। উল্টো জোর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। আফগানিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইনিংসে ১৫ ছক্কার রেকর্ড গড়ে জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বাংলাদেশের বিপক্ষে হাঁকিয়েছে ১০টি। সেখানে তিন ম্যাচে টাইগারদের ছক্কার সংখ্যা মাত্র ১৩টি। আর জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম মনে করেন জোর করে ছক্কা না মেরে কৌশলী হওয়াই বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টিতে অবশ্যই ছক্কার মার গুলো দারুণ ব্যবধান গড়ে দেয়। কিন্তু আমাদের পেশী শক্তির ঘাটতি আছে। তাই জোর করে কিছু হবে না। আমাদের কৌশলী হতে হবে। যত বেশি সম্ভব ওভারে ডাবল রান নিতে হবে। সুযোগ পেলে চারের মার ছক্কা হাঁকাতে হবে।’বুধবার চট্টগ্রামে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ১৭৫ রানের ইনিংসে ছক্কার  মার ছিল মাত্র ৮টি। এর মধ্যে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকেই এসেছে ৫টি। শেষ দিকে এসে ফুলটসে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে একে একে ফিরে গেছেন চার ব্যাটসম্যান। জাভেদ ওমর বলেন, ‘আসলে আমি আমার প্রথম দিকে স্লো ব্যাট করেছি। কারণ দলের প্রয়োজন ছিল। কোনো কোনো সময় দলের প্রয়োজনে নিজেকে বদলাতে হয়। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু প্রথমে দেখতে হবে উইকেট আসলেই মেরে খেলার মতো কিনা। যদি হয় সেই ভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের প্রকৃতগত ভাবেই  পেশী শক্তি কম। কিন্তু তা কামিয়ে আনা যাবে কৌশলে ছক্কা মারার অভ্যাস গড়ে তুলে। বড় শট খেলতে হলে অভ্যাসটা দরকার। এরপর বলের গতি ব্যবহার করে বাউন্ডারি মারাও জানতে হবে। প্রতিপক্ষ দলে যখন বেশি পেশী শক্তি থাকবে যেমন আফগানিস্তানের মতো। তখন আমাদের সেই পরিকল্পনা বা  কৌশল নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।’আফগানিস্তানের মতো নবীন দলের এত ভালো খেলার পেছনে দারুণ পরিকল্পনা আছে বলেই মনে করেন জাবেদ ওমর। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান কি দল! কত দিন খেলেছে তারা! কিন্তু সফল কীভাবে হচ্ছে? কারণ ওরা পরিকল্পিত ক্রিকেট খেলছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওরা কিন্তু দ্রুত উইকেট হারায়। কিন্তু  এরপর কৌশল বদলে উইকেটে পড়েও থাকে আবার ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যবধানটাও গড়ে দেয়। আমাদের ব্যাটিংয়ে এমন পরিকল্পনা দেখিনি। পরিকল্পনা ও কৌশল অবলম্বন করে ব্যাটিং আমাদের টি-টোয়েন্টির জন্য খুবই প্রয়োজন।’২০০৬/২০০৭ থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ দল। এখন পর্যন্ত  তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহীম ছাড়া এই ফরমেটে হাজার রান ছুঁতে পারেনি অন্য কোনো ব্যাটসম্যান। কি কারণে দলের ব্যাটিংয়ের এমন বাজে অবস্থা? বিপিএল টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করা জাবেদ ওমর দায়টা চাপিয়েছেন তরুণদের ওপর। তিনি বলেন, ‘আমিও আমার ক্যারিয়ারে শেষ দিকে অনেক ছক্কার মার মারতে  পেরেছি। কারণ আমি অভ্যাস করেছিলাম। তেমনি তামিম, সাকিব, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিকরাও অভ্যাসের কারণে দারুণ ব্যাট করতে পারে। কিন্তু তারাতো দলকে একক ভাবে টানতে পারবে না। যারা নতুন এসেছে সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাব্বির তারাও বেশ কয়েক বছর খেলে ফেললেও ওদের মতো অভ্যাসটা গড়ে তুলতে পারেনি। পারে না যে তা নয়, একটি বা দুটি বড় ইনিংস খেলে তারপর আবার নেই। সৌম্য, সাব্বিরের তো একই অবস্থা। ওরা ধারাবাহিক নয়। যত দিন পর্যন্ত সিনিয়রদের সঙ্গে তরুণরা পারফরম্যান্স করতে না পারবে, তারা ধারাবাহিক হতে না পারবে ততোদিন এই সমস্যা থাকবেই।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও