কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শ্রমিকদের মানবেতর জীবন

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

গত দুই মাসের বেশি সময় থেকে বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে বন্দরের রাজস্ব আয় কমেছে কয়েকগুণ। একই সঙ্গে বন্দরের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন।সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতের মেঘালয়ের পরিবেশবাদী একটি সংগঠন উচ্চ আদালতে মামলা দায়েরের পর কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। স্থলবন্দর ব্যবহারকারী কয়লা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশের পর শিগগিরই মেঘালয়ে কয়লা উত্তোলনের যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তার অবসান হবে।শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু হলে মাসে সরকার রাজস্ব আয় করবে কোটি টাকার উপরে। কিন্তু গত ১লা জুলাই থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় বন্দরটি প্রাণহীন হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ শ্রমিক বন্দর ছেড়ে কাজের সন্ধানে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। যেসব শ্রমিকরা এখনো বন্দরে রয়েছেন তারা দুই বেলার খাবার যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। কয়লা শ্রমিক আবুল হোসেন বলেন, ‘কয়লা আমদানি শুরু হবে এই আশায় এখানে পড়ে রয়েছি। কিন্তু এভাবে বেশিদিন থাকাও সম্ভব নয়।’ শেওলা স্থলবন্দরের কয়লা ব্যবসায়ী জাহেদ ইকবাল বলেন, এলসি খোলার অপেক্ষায় আছি কয়লার। কিন্তু এখনো কয়লা আমদানি শুরু হতে আরো কয়েকমাস লেগে যেতে পারে। আবার দ্রুত সময়ের মধ্যে কয়লা আমদানি শুরু হয়ে যেতে পারে। সব কিছু নির্ভর করছে মেঘালয়ের কয়লা কোয়ারির মালিকদের ওপর। তিনি সে দেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে জেনেছেন, কয়লা উত্তোলনে নিয়োজিত শ্রমিকদের জন্য কোয়ারির মালিকদের একশ’ কোটি টাকার ইন্স্যুরেন্স খোলার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আদালত নির্দেশনা দেন। আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়ে গেলে কয়লা আমদানি ফের শুরু হবে। গত বছরের ১৩ই ডিসেম্বর ভারতের মেঘালয়ের একটি কয়লা খনিতে পানি প্রবেশ করায় ভূমি থেকে ৭০-৮০ ফুট নিচে ১৪ জন শ্রমিক আটকা পড়েন। সেসব শ্রমিকদের উদ্ধার করতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সব রকম উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মেঘালয়ের পরিবেশবাদীদের দাবি আরো জোরালো হয়। পরিবেশবাদীরা মেঘালয় খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করতে আদালতে রিট করেন। রিট আবেদন পেয়ে ২০১৪ সালে মেঘালয়ের ছোট ছোট কয়লা খাদানকে (ছোট ছোট কয়লা খনি) অবৈধ ঘোষণা করে সে দেশের হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত এসব খাদান থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।শেওলা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে যেভাবে কয়লা আমদানি হতো গত দুই অর্থ বছরে সেভাবে কয়লা আমদানি হয়নি। এ ছাড়া গত ১লা জুলাই থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয় কয়েকগুণ কমে গেছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে আমদানি পণ্য থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ২২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। একই বছরে রপ্তানি পণ্য থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে ১২৯ কোটি ৯৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা। শেওলা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা সনজিৎ কুমার আচার্য্য বলেন, কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় বন্দর একেবারে নীরব রয়েছে। কোনো কোলাহল নেই, আমরা অনেকটা অলস সময় পার করছি। তিনি বলেন, কয়লা আমদানি শুরু হলে প্রতি মাসে রাজস্ব আয় ৭ থেকে ৮ গুণ বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে ফিরবে এ স্থল বন্দরের প্রাণচাঞ্চল্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও