কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘এমন দিনেরই প্রত্যাশায় ছিলাম’

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

এশিয়ান র‌্যাঙ্কিং আরচারিতে সোনা জিতে দেশে ফিরে আক্ষেপ জানিয়েছিলেন রোমান সানা। আক্ষেপ থেকে নানা কথা বলেছিলেন সোনা জয়ী এই আরচার। মঙ্গলবার রাতে তাকে কাছে ডেকে সেই আপেক্ষ দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশকে ভবিষ্যতে যেন আরো বড় সাফল্য উপহার দিতে পারে, সে জন্য সব রকম সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া দেশসেরা এই আরচারের মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী মুখে মিষ্টি তুলে দেয়ায় আবেগে আপ্লুত রোমান। গতকাল টঙ্গির ক্যাম্পে বসে জানিয়েছেন রোমান সানা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে মুখে মিষ্টি তুলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে মিষ্টি খাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। তিনি আমার সকল ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমার মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। এটা আমার জীবনের একটা গর্বের দিন। মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসায় আমার মনের সকল কষ্ট দূর হয়ে গেছে’।গত শুক্রবার ছিল আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের এক গৌরবের দিন। ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ র‌্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত রিকার্ভ ইভেন্ট থেকে বাংলাদেশকে সোনা এনে দিয়েছেন রোমান। সোনা জয়ের পর একই দিনে টুর্নামেন্টের দলীয় ইভেন্ট থেকে রোমানের নেতৃত্বে রুপা জয় করেছে বাংলাদেশ। মিশ্র  দ্বৈতেও পেয়েছেন ব্রোঞ্জ। স্বাভাবিকভাবে এই আরচার আশা করেছিলেন এমন অর্জনে দেশে আলোড়ন তুলবেন। টের পাবেন সবার ভালোবাসা। সেটা হয়নি বলে মন খারাপ করেছিলেন ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি জায়গা করে নেয়া এই আরচার। গতকাল আলাপকালে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের বিষয়ে রোমান সানা বলেন, ‘এর আগেও দু’বার দেখা করেছি। কিন্তু এবার কেবল ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে তিনি দেখা করতে চেয়েছেন। এটা আমার পরম সৌভাগ্য। আগে অনেকের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলাম, হ্যান্ডশেক করেছেন চলে গেছেন। কিন্তু সেদিন তিনি আমার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ১৫ মিনিট কথা বললেন। এরপর ওনার অফিসের লোকজনকে বললেন আমাদের বসানোর ব্যবস্থা করতে। এরপর বিশেষ কক্ষে অনেকক্ষণ কথা বললেন। অনেক কিছু জানতে চাইলেন। এরপর এক পর্যায়ে স্যার (আরচারি ফেডারেশনের সভাপতি লে. জে. অব. মঈনুল ইসলাম) আমার মায়ের অসুস্থতার কথা বললেন। তখন তিনি বললেন তোমার মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। তৎক্ষণাত তিনি একজনকে বললেন খোঁজ খবর নিতে। সেই সঙ্গে আমাকে আর্থিক সহায়তা দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের খেলাটাকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করবেন বলেছেন। ২০২৩ সালে যুব চ্যাম্পিয়নশিপ হবে, সেটা আয়োজনের সব কিছুই বলেছেন।উনি আমার ছোটবেলার কথা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি একটা সময় গুলতি বানিয়ে নিশানাভেদ করা খেলতাম। তারপর আমার বাসা কোথায় জানতে চাইলেন। খুলনা শুনে উনি খুব খুশি হয়ে বললেন খুলনার ছেলেরা তো খেলাধুলায় খুব ভালো হয়। সবচেয়ে ভালো লেগেছিল একটা ব্যবহারে। আমি একটু দূরে বসেছিলাম। তখন তিনি সবাইকে বললেন ও তো আজকের মধ্যমণি, ও আমার সোনার ছেলে। ওকে আমার কাছে বসাও। তারপর আমাকে তিনি তার পাশে বসালেন। এরপর তিনি আমাকে মুখে তুলে মিষ্টি খাওয়ালেন। আমি কল্পনাও করিনি যে উনি আমাকে নিজের হাতে মিষ্টি খাইয়ে দিবেন। আগে আর কাউকে এভাবে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন কিনা তা আমার চোখে পড়েনি। এটা আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাটাই অনেক বড় প্রাপ্তি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও