কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পার্লামেন্ট স্থগিত নিয়ে রায় দেয়ার ক্ষমতা নেই আদালতের: সরকার পক্ষ

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

পার্লামেন্ট স্থগিত করার মতো সহজাত ও মৌলিক রাজনৈতিক বিষয়ে রায় দেয়ার ক্ষমতা নেই সুপ্রিম কোর্টের। বুধবার বৃটিশ পার্লামেন্ট স্থগিত নিয়ে বৃটেনের সুপ্রিম কোর্টে চলমান শুনানির দ্বিতীয় দিনে আদালতকে এমনটা জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী স্যার জেমস ইয়াদি। তিনি দাবি করেন, বিচারিক ক্ষমতার বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক ও উচ্চ পর্যায়ের নীতিমালা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা রয়েছে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য টাইমস।খবরে বলা হয়, গত মাসে পাঁচ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে বৃটেনজুড়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একাধিক আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। এর মধ্যে স্কটল্যান্ডের সেশন কোর্টে মামলা করেন বিরোধী ৭৫ এমপি এবং ইনল্যান্ড ও ওয়েলস’র হাইকোর্টে মামলা করেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নপন্থি ব্যবসায়ী গিনা মিলার। গত সপ্তাহে বিরোধীদের পক্ষে রায় দিয়ে জনসনের সিদ্ধান্তটিকে বেআইনি ঘোষণা করে স্কটল্যান্ডের সেশন কোর্ট। অপরদিকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস’র হাইকোর্ট মিলারের মামলার রায়ে জানায়, পার্লামেন্ট স্থগিতের বিষয়টি রাজনৈতিক। এটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ক্ষমতার আওতাধীন, যা বিচারিক ক্ষমতার বাইরে। এ বিষয়ে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। ফলস্বরূপ, জনসনের সিদ্ধান্তটি বৈধতার স্বীকৃতি পায়। দুই আদালতের এমন পর¯পরবিরোধী রায়ের বিরুদ্ধে লন্ডনে বৃটেনের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন মিলার ও সরকার পক্ষ। মঙ্গলবার দুই আপিল নিয়ে শুনানি শুরু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত তিন দিন ধরে এই শুনানি চলবে।বুধবার মিলারের আপিলের প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে সরকারপক্ষের আইনজীবী ইয়াদি বলেন, রাজনৈতিক বা উচ্চ পর্যায়ের নীতিমালা সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তের বৈধতা নির্ধারণের কোনো বিচারিক বা শাসনযোগ্য মানদ- নেই। পার্লামেন্ট স্থগিতের ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত, অবধারিতভাবে রাজনৈতিক মূল্যায়নের পর নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে, আধুনিক রাজনীতির সকল দিক বিবেচনায় কীভাবে সরকারের রাজনৈতিক ও বিধানিক এজেন্ডা কার্যকরভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় তাও রয়েছে। তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক মীমাংসার ব্যাপার, আইনি মানদ-ের নয়। মঙ্গলবারের শুনানিতে ইংল্যান্ডের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলকারী আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, পাঁচ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীত্বের বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসের ক্ষমতার সবচেয়ে বড় অপব্যবহার করেছেন জনসন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বৃটেনের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট নিয়ে বিরোধীদল যাতে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা না করতে পারে সেজন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের ১১ বিচারকের একটি বেঞ্চ দুই আপিলের শুনানি পর্যালোচনা করবেন। এদিন স্কটল্যান্ডের অ্যাডভোকেট জেনারেল লর্ড কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সতর্ক করেন, সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিলে রাজনৈতিক রঙ্গভূমিতে প্রবেশের ঝুঁকিতে পড়বেন তারা। তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন।উল্লেখ্য, আগামী ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট নিশ্চিত করতে ও সরকারের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার সমালোচনা এড়াতে পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন জনসন। তবে জনসন এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। পার্লামেন্ট বন্ধ থাকায় ১৪ অক্টোবরের আগে কোনো বিল পাস করতে পারবেন না এমপিরা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও