কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চিকিৎসকের অবহেলা তদন্তে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে সিজারের পর এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলা আছে কিনা তা তদন্ত করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্তত তিনজন স্ত্রীরোগ ও অবস বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হাইকোর্ট সিজারিয়ানের পর প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা অবহেলার কারণে কেন তিন বিবাদীকে দায়ী করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী এম কে রহমান ও এম মইনুল ইসলাম।  এম মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিজারিয়ানের পর প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলার কারণে কেন তিন বিবাদীকে দায়ী করা হবে না রুলে তা জানতে চেয়েছে আদালত। স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের সেক্রেটারি জেনারেল সালাউদ্দিন আহমেদ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের অতিথি চিকিৎসক দিলরুবা জেবা এবং ওই হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইশতিয়াক আহমেদ। রিট আবেদনে তিনি সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। গত ৩০শে আগস্ট শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক প্রসূতি খায়রুন্নাহার তানির সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যাশিশুর জন্ম হয়। এরপর ৩১শে আগস্ট শনিবার সকাল ৭টায় হাসপাতালে মারা যান তানি। তানির স্বামী হাইকোর্টের আইনজীবী সফওয়ান করিম অভিযোগ করেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক দিলরুবা জেবা নির্ধারিত সময়ের আগেই রোগীর সিজারিয়ান অপারেশন করায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার অভিযোগ, অসুস্থ হওয়ার পর শিশু হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের ডেকে পাওয়া যায়নি। ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহউদ্দীন ফরিদ জানান, ডা. জেবা শিশু হাসপাতালে অতিথি চিকিৎসক হিসেবে সিজারিয়ান অপারেশন করে থাকেন। আমাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ প্রসূতির চিকিৎসা সেবায় গাফিলতি করেনি। এ ব্যাপারে ডা. দিলরুবা জেবা বলেন,  রোগী যথেষ্ট জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পূর্ব নির্ধারিত সময়েই অপারেশন করে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেছি আমরা। তার প্রেসার বেশি ছিল এবং তিনি প্রি-একলামশিয়ায় ভুগছিলেন। হার্ট ফেইলিওর বা ব্রেন হেমারেজে তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও