কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

বাতিল হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০১৬, ১৬:২৯
আপডেট: ৩১ মে ২০১৬, ১৬:২৯

ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) পঞ্চম শ্রেণির ‘প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী’ পরীক্ষা বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে মন্ত্রিসভায়।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেছেন, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তেই এ পরীক্ষা চালু হয়েছিল। তা বিলুপ্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও মন্ত্রিসভা থেকেই নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই প্রাথমিক সমাপনী একটি হবে, আর তা অষ্টম শ্রেণিতে। অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা শেষে আমরা শিক্ষার্থীদের সনদ দেব।’ 

গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই প্রাথমিক সমাপনী একটি হবে আর তা অষ্টম শ্রেণিতে। অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা শেষে আমরা শিক্ষার্থীদের সনদ দেব। সবার বিবেচনা অনুযায়ী প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা একটাই থাকার কথা। আমরাও সেই বিবেচনা করব, প্রাথমিক সমাপনী একটাই হবে।’

অষ্টম শ্রেণিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার নাম কী হবে সেটা সরকারের বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয় মতামত পাঠাবে জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পিএসসি বা অন্য নামে হতে পারে, এটা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শিগগিরই এসব বিষয়ে মতামত মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।’

চলতি বছর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা হবে কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, চেষ্টা করছি কত দ্রুত এটা (একটি সমাপনী পরীক্ষা রাখার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত) করতে পারি। এখনও ছয় মাস সময় আছে। এ বছরই যেন বাস্তবায়ন করতে পারি সেই চেষ্টা করব। এখন থেকে প্রস্তুতি নিলে এটা বাস্তবায়ন করতে পারব।

এবারের প্রাথমিক সমাপনীর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না হলে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তায় পড়ার কথা মন্ত্রীকে বলা হলে তিনি বলেন, ক্লাস ফাইভের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিন্তু সেই পরীক্ষা না হলে তো কোনো ক্ষতি নেই, ভালো হয়ে তৈরি তো হবে।

পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা বিলুপ্ত করে প্রাথমিক সমাপনী অষ্টম শ্রেণিতে নেওয়া হলেও তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা বোর্ডগুলোর মাধ্যমেই নেওয়া হবে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী।

আগে পঞ্চম শ্রেণিতে আলাদা করে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হলেও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী চালুর পর থেকে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকেই বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ২০০৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালুরে পরের বছর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য নেওয়া হচ্ছে ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা।

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মেরামতের পাশাপাশি ওই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বই নষ্ট হয়ে গেলে তাদের নতুন বই দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।