কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হোটেল রেডিসনে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহের বৈঠকে বক্তব্য দেন মোস্তাফা জব্বার। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে বাংলাদেশ কাজ করছে: মোস্তাফা জব্বার

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০১৮, ১৮:২০
আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০১৮, ১৮:২০

(প্রিয়.কম) ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে বাংলাদেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

৬ আগস্ট, সোমবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আইটিইউ-বিটিআরসি এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহের রেগুলেটর রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ অঞ্চলের দেশসমূহকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই অঞ্চলের দেশসমূহের রেগুলেটরদের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তরের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা ভেঙে দিয়ে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেন। কম্পিউটারের ট্যাক্স-ভ্যাট প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সকলের জন্য সহজলভ্য করেন।’

গত ৯ বছরে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক দেশের প্রতিটি অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের মহাকাশে ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। আমরা দুনিয়ার গুটিকয়েক দেশের মধ্যে একটি দেশ, যারা ফাইভজি পরীক্ষা করেছি। ফাইভজি প্রযুক্তিতে আমরা পিছিয়ে থাকব না।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেট এখন মানুষের মৌলিক অধিকারের পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের কারণে আমি কী আমার জনগণের কর্মসংস্থান বহাল রাখতে পারব। আমি কী একই সাথে যারা দুনিয়ার প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে থাকতে পারব। এই সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপায় উদ্ভাবনে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিকম রেগুলেটরদের ভূমিকা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের টার্গেট ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা ও একটি জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা।’

সামগ্রিকভাবে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বিকাশ যাতে ব্যাহত না হয়, এই নীতিতে কাজ করার জন্য তিনি এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিকম রেগুলেটরদের প্রতি আহ্বান জানান। 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্যপদ লাভ এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বহির্বিশ্বের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ কানেকটিভিটি স্থাপনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন (আইটিইউ) এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক আইওনি করইভউকী, এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি (এপিটি) সেক্রেটারি আরউইন হাওরাঙফি প্রমুখ।

তিন দিনব্যাপী কনফারেন্সে এই অঞ্চলের ২৬ দেশের ৪২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। আগামী ৮ আগস্ট সম্মেলন শেষ হবে।

প্রিয় প্রযুক্তি/শান্ত