কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এবার চীনের ‘সিনোফার্ম’ টিকার অনুমোদন

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৫৭
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৫৭

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকার সরবরাহ সঙ্কটে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে জটিলতার মধ্যে দ্রুত দুটি নতুন টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো। 

বাংলাদেশে অনুমোদন পেল সিনোফার্মের টিকা—বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

রাশিয়ার ‘স্পুৎনিক-ভির’ পর এবার চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিলো বাংলাদেশ সরকার। 

২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, “আজকে আমরা সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দিলাম। এই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে।”

অনুমোদন পেল রাশিয়ার টিকা—প্রথম আলো

এর আগে ২৭ এপ্রিল দেশে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি এই অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সভায় টিকা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

রাশিয়া ও চীনের দুটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগ

করোনা প্রতিরোধে রাশিয়া ও চীনের দুটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। দেশীয় ওষুধ কোম্পানির মাধ্যমে ভ্যাকসিন দুটি উৎপাদনের প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২৮ এপ্রিল বুধবার ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে রাশিয়া ও চীনের দুটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে।

১৩ লাখ মানুষের টিকার দ্বিতীয় ডোজ অনিশ্চিত—প্রথম আলো

সরকার প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রথম ডোজ নেওয়া ১৩ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজের টিকাও। এর মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশে গণটিকাদান শুরু হওয়ার সাড়ে তিন মাসের মাথায় টিকা কর্মসূচি কিছুটা এলোমেলো হতে দেখা যাচ্ছে।

পর্যবেক্ষক মহল ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা মনে করেন, ভারত থেকে পাওয়া টিকার মজুত ফুরিয়ে আসার পাশাপাশি আমদানি ও সংগ্রহ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁরা বলছেন, সরকার টিকার জন্য ভারতের ওপর বেশি নির্ভরতা দেখিয়েছে। সরকার বিকল্প উৎসের ব্যাপারে কম মনোযোগী ছিল। টিকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিকল্পনার ঘাটতিও রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা কম পড়ার ঝুঁকি অনেক আগে ধরা পড়লেও সরকার প্রথম ডোজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিলম্বে।

জরুরি ভিত্তিতে ২০ লাখ ডোজ টিকা আনার চেষ্টা, তারিখ অনিশ্চিত—বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়ার করোনাভাইরাসের টিকার পরিবেশক বেক্সিমকো ফার্মসিউটিক্যালস জরুরি ভিত্তিতে ২০ লাখ ডোজ এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। তবে সেই টিকা ঠিক কবে হাতে পাওয়া যাবে তা নিয়ে কথা না হলেও মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই তা হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।

টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া আপাতত বন্ধ—বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

মজুদ কমে আসায় এবং সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা না কাটায় ২৬ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আপাতত টিকা রপ্তানি নয়, চিঠি ভারতের—প্রথম আলো

ভারতের কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী করোনার টিকার পরের চালান কবে আসবে, সেই নিশ্চয়তা পাচ্ছে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অনুরোধের জবাবে ভারত ২৪ এপ্রিল যে কূটনীতিক পত্র পাঠিয়েছে, তাতেও সেই অনিশ্চয়তা দূর হয়নি। বরং ভারত বাংলাদেশকে টিকা রপ্তানি আপাতত স্থগিত করারই ইঙ্গিত দিয়েছে।