এতে চরম অসম্মানিতবোধ করেছেন সাবেক এই পাকিস্তানি অধিনায়ক। ছবি: সংগৃহীত
ম্যানচেস্টারের বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার ওয়াসিম আকরাম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯, ১০:২৭
(প্রিয়.কম) তিনি পাকিস্তানি কিংবদন্তি। তার জনপ্রিয়তা বিশ্বজোড়া। বাইশ গজের সুলতান অফ সুইং নামে খ্যাত তিনি। অথচ সেই ওয়াসিম আকরামকেই ভয়াবহভাবে অপদস্থ হওয়ার মুখে পড়তে হলো, তাও আবার ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে!
সদ্যসমাপ্ত ২০১৯ বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকার ছিলেন ওয়াসিম আকরাম। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ঘুরে বেড়িয়েছেন সাবলীলভাবেই। লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালেও ধারাভাষ্যকরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারকে। কিন্তু বিশ্বকাপের পর দেশে ফেরার পথে ম্যানচেস্টার এয়ারপোর্টে হেনস্তার শিকার হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সময়ও ইনসুলিনের ব্যাগ নিয়ে ম্যানচেস্টারে গিয়েছিলেন ওয়াসিম। কিন্তু মঙ্গলবার সেই ব্যাগ নিয়েই পড়লেন বিপাকে। কেননা সেই ব্যাগে ছিল ইনসুলিন। পরবর্তী সময়ে বিমানবন্দরে হওয়া অভিজ্ঞতার ক্ষোভ উগড়ে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে।
টুইটারে ওয়াসিম আকরাম লিখেছেন, ‘ম্যানচেস্টার এয়ারপোর্টে আমার সঙ্গে যা হয়েছে তাতে আমি মর্মাহত। আমি এই ইনসুলিন ব্যাগ নিয়েই ইংল্যান্ড ঘুরে বেড়িয়েছি। কিন্তু কখনো হেনস্তা হতে হয়নি। কিন্তু আজকে আমাকে জনসমক্ষে হেনস্তা করা হয়। সবার সামনে জিজ্ঞাসাদ এবং প্ল্যাস্টিক ব্যাগ থেকে ইনসুলিন বের করে প্লাস্টিক ব্যাগে ঢোকাতে আমায় বাধ্য করেছেন।’
Very disheartened at Manchester airport today,I travel around the world with my insulin but never have I been made to feel embarrassed.I felt very humiliated as I was rudely questioned & ordered publicly to take my insulin out of its travel cold-case & dumped in to a plastic bag pic.twitter.com/UgW6z1rkkF
— Wasim Akram (@wasimakramlive) July 23, 2019
১৯৯৭ সাল থেকে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত আকরাম। তখন থেকেই বেশ কয়েকটি করে ইনসুলিন নিতে হয় কিংবদন্তি এই পাক পেসারকে। ইনসুলিন ইনজেকশন ঠাণ্ডা রাখতে মেডিকেশন কোল্ড কেস ব্যবহার করেন আকরাম। কিন্তু মঙ্গলবার ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারকে ব্যাগ থেকে ইনসুলিন বের করে দেখাতে বলেন।
ওয়াসিমের টুইটটি ভাইরাল হতেই খবর পৌঁছায় ম্যাঞ্চেস্টার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। টুইটারে আকরামকে উত্তরও দেয় তারা। লেখে, ‘বিষয়টি সামনে আনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি যদি সরাসরি বিষয়টি আমাদের জানান, তাহলে আমরা তাতে আলোকপাত করতে পারি।’ জবাবে আকরাম রিটুইটে লেখেন, ‘দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমি নিশ্চয়ই এ নিয়ে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব।’
I do not believe I should have been treated differently from anyone else. I just believe there should be a standard of care when dealing with all people. I understand there are proper safety precautions but that doesn’t mean people should be humiliated whilst undergoing them.
— Wasim Akram (@wasimakramlive) July 23, 2019
এরপর আকরাম আরও একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বাড়তি কোনো সুবিধে পেতে চাই না। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, মানুষের সঙ্গে কী রকম ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে একটা রীতি থাকা উচিত। জানি, নিরাপত্তার ব্যাপার আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করা হবে।’
প্রিয় খেলা/আশরাফ