কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিশ্বকাপে আফগানিস্তান একটিও ম্যাচ জেতেনি। ছবি: সংগৃহীত

‘ইচ্ছে করেই বাজে খেলেছেন, ম্যাচ হারলেও ড্রেসিংরুমে চলতো হাসাহাসি’

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০১৯, ১৫:৩০
আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৯, ১৫:৩০

(প্রিয়.কম) বিশ্বকাপের শুরু থেকে কথার তুবড়ি ছুটিয়ে আসছিলেন আফগান ক্রিকেটাররা। অনেক অঘটনের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন তারা। কিন্তু আফগানদের মাঠের পারফরম্যান্সে তার বিন্দুমাত্র ছাপ খুঁজে পাওয়া যায়নি। লিগ পর্বের নয়টি ম্যাচের মধ্যে একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি গুলবাদিন নাইবের দল। দশ দলের মধ্যে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে বিশ্বকাপের ১২তম আসর শেষ করে প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় আফগানিস্তান।

বিশ্বকাপ শেষে তোলপাড় চলছে আফগান ক্রিকেটে। চলছে রদ-বদল। অধিনায়কত্বেও এসেছে বদল। নেতৃত্ব হারিয়ে আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব এখন বলেছেন, বিশ্বকাপে দলের এ অবস্থার জন্য দায়ী সিনিয়র খেলোয়াড়েরা। ইচ্ছা করেই বাজে খেলেছেন তারা! ম্যাচ হারের পর ড্রেসিংরুমে মন খারাপ করে না থেকে উল্টো হাসি-তামাশা করতো ওই সিনিয়র ক্রিকেটাররা! এমনকি মাঠে তারা কোনো নির্দেশনাই মানতো না!

বিশ্বকাপের ঠিক আগ দিয়ে তড়িঘড়ি করে আসগর আফগানের হাত থেকে অধিনায়কত্ব নিয়ে দেওয়া হয়েছিল গুলবদিনকে। প্রকাশ্যে সে সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীর মতো সিনিয়র তারকারা। তখনই বোঝা গিয়েছিল, আফগান ড্রেসিংরুমের ভেতরটা অশান্ত। এমনকি বিশ্বকাপের সময়েও কোচ ফিল সিমন্স ও প্রধান নির্বাচক একে অপরের দিকে তোপ দেগেছেন।

তখন দলের ভেতরকার অবস্থা নিয়ে গুলবাদিন নাইব কিছু বলতে না চাইলেও মুখ খুলেছেন এখন।

আফগান সাংবাদিক ওয়াসিল ওয়েসালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুলবাদিন বলেন, ‘সিনিয়রদের পারফরম্যান্সের ওপর আফগানিস্তান দল নির্ভরশীল। কিন্তু এই সিনিয়ররাই বিশ্বকাপে ইচ্ছে করে খারাপ খেলেছে। যার প্রভাব পড়েছে ফলাফলের ওপর। তারা আমার কথার কোনো গুরুত্ব দিত না। ম্যাচ হেরে তারা দুঃখিত না হয়ে ড্রেসিংরুমে হাসাহাসি করত! ম্যাচের মধ্যে আমি যখন তাদের কোনো নির্দেশনা দিতাম তখন তারা আমার দিকে তাকাতই না!’

প্রিয় খেলা/আশরাফ