কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতীকী ছবি

দুই সপ্তাহে ১১টি গণপিটুনির ঘটনা, নিহত ৬

মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৯, ১৮:২৮
আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯, ১৮:২৮

(প্রিয়.কম) ছেলেধরা সন্দেহে গত ১৪ দিন ১১টি  গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে ১৪ জন। আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১০ জন। আজও (২০ জুলাই) গণপিটুনিতে ঢাকায় দুই ও নারায়ণগঞ্জে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

গণমাধ্যমে খবরে জানা যায়, ২০ জুলাই, শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে পিটিয়ে মেরে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাজধানীর উত্তর বাড্ডার কাঁচাবাজারের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, উত্তর বাড্ডায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা পাশাপাশি। সেখানে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনজন বোরকা পরিহিত নারী যান। তারা স্কুলের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। বাধার মুখে দুজন পালিয়ে গেলেও আরেকজন গণপিটুনির শিকার হন।

কেরানীগঞ্জে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনি, যুবক নিহত

কেরানীগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে অজ্ঞাতপরিচয় দুই যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। এতে এতজন নিহত হয়েছেন, অন্যজনকে গুরুতর আহতবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মালঞ্চ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন হযরতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, সকালে ওই দুই যুবক গ্রামে ঘোরাঘুরি করতে থাকে এবং শিশুদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। এতে তাদের ওপর সন্দেহ হলে এলাকাবাসী ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মালঞ্চ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এক যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জে গণপিটুনিতে যুবক নিহত, আহত এক নারী

সিদ্ধিরগঞ্জে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক দুই স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন এক নারী। ২০ জুলাই, শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় ও বেলা পৌনে ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া ও পাইনাদী শাপলা চত্বর এলাকায় এ দুই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত জানান, ৬-৭ বছরের এক মেয়ে শিশুর হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছিল ওই যুবক। এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে দুই যুবকের সন্দেহ হয়। তারা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুটি নিজের বলে দাবি করে, কিন্তু শিশুটির বাবা ঘটানস্থলে গেলে শিশুটি তার বাবার কাছে চলে যায়। তখন উপস্থিত লোকজন ওই যুবককে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের খানপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী শাপলা চত্বর এলাকায় ২২ থেকে ২৫ বছরের এক নারী খেলনা ও খাবার দিয়ে এক শিশুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্দেহ হলে তারা শিশুটি কার জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়।

খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম।

গাজীপুরে নারীকে গণপিটুনি

গাজীপুরে ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ওই নারীর নাম মমতাজ খাতুন (৪৫) তিনি নেত্রকোনার দুর্গাপুর এলাকার আবদুল আলীমের স্ত্রী। পুলিশের দাবি, গণপিটুনির শিকার ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন।

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম কাউসার চৌধুরী জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রাস্তায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন ওই নারী। এক পর্যায়ে রাস্তার পাশে এক শিশুকে আদর করতে গেলে ছেলেধরা সন্দেহে শিশুটির বাবা-মা ওই নারীকে আটক করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

থলের ভেতর শিশুর ছিন্ন মাথা, গণপিটুনিতে যুবক নিহত

নেত্রকোনায় ব্যাগে করে এক শিশুর ছিন্ন মাথা নিয়ে দৌড়ে পালানোর সময় এক যুবককে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করেছে ক্ষুব্ধ জনতা। ১৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে শহরের নিউটাউন অনন্ত পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুটির নাম সজীব মিয়া (৭)। সে শহরের পূর্ব কাটলি এলাকায় রিকশাচালক রইছ উদ্দিনের ছেলে। তবে হত্যার শিকার যুবকের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও এলাকার লোকজন জানান, পৌর এলাকার কাটলি গ্রামের এখলাস উদ্দিনের ছেলে রবিন (৩৫) চকপাড়া শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসের সামনে দিয়ে চলাচলের সময় তার ছালার ব্যাগ থেকে একটি মস্তক পড়ে যায়। এলাকার লোকজন তা দেখে ফেলে চিত্কার করতে থাকলে রবিন ছিন্ন মাথা নিয়ে দৌড়ে পালাতে থাকে এবং নিউটাউন পচা পুকুরের নিকট পৌঁছামাত্র চারদিক থেকে আসা লোকজনের গণপিটুনিতে সে নিহত হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও থানার ওসি এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং শিশুর ছিন্ন মাথা ও নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে নিয়ে যান।

চট্টগ্রামে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে গণপিটুনি

গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। গণধোলাইয়ের শিকার তিনজন হলেন- কক্সবাজার জেলার লোহাগড়া থানার আব্দুল মালেক (৬০), নুর কবির (২৮) ও নুর ইসলাম (৬০)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে একটি প্রাইভেটকারে করে ওই তিন ব্যক্তি এলাকায় আসেন। অপরিচিত হওয়ায় তাদের দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। এলাকায় আসার কারণ জানতে চাইলে তিনজনের কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ আরও বাড়ে। এক পর্যায়ে উপস্থিত লোকজন তিনব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয়।

পটুয়াখালীতে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনি, নিহত ১

গত ১২ জুলাই পটুয়াখালীতে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনিতে দাদন মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সদর উপজেলার গেরাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দাদন মিয়া মাদারীপুরের ডিগ্রিরচর এলাকার বাসিন্দা মোহন মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, ঘটনার দিন রাত ২টার দিকে গেরাখালী এলাকার বাসিন্দা সিরাজের বাসায় গিয়ে দরজায় ধাক্কা দেন দাদন মিয়া। ওই বাড়িতে তখন তিনজন লোক ছিলেন। পরে পাশের বাড়িতে তারা মোবাইল করে বিষয়টি জানান। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে দাদন মিয়াকে গণপিটুনি দেয়।

বরিশালের ‘ছেলেধরা ও গলাকাটা’ সন্দেহে দুই যুবককে পিটুনি

গত ১১ জুলাই বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় ‘ছেলেধরা ও গলাকাটা’ সন্দেহে দুই যুবককে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। নলচিড়া ইউনিয়নের কা-পাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে ওই দুজনকে উদ্ধার করেছে।

ঘটনার শিকার ওই দুই যুবকের নাম তরিকুল ইসলাম (২৯) ও মিজানুর রহমান (২৮)। তারা মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার বাসিন্দা।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টেকেরহাট চরপ্রসন্নদী জামেয়া আরাবিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার সাহায্যের জন্য টাকা তুলতে তরিকুল ও মিজানুর বুধবার কা-পাশা গ্রামে যান। এরপর কয়েকটি বাড়ি থেকে টাকা তোলেন। তবে এ সময় গ্রামের কা-পাশা নুরানী তালীমুল মাদ্রাসার সুপার মাহামুদুল ইসলাম গ্রামের যুবকদের ডেকে জানান, এলাকায় ছেলেধরা ও গলাকাটা প্রবেশ করেছে। এরপর যুবকেরা ওই দুজনকে খুঁজে বের করে পিটুনি দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপিটুনিতে যুবক নিহত

১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক নিহত হয়েছেন। আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকেই ছেলেটি আশুগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় ঘুরাফেরা করছিল। এ সময় তার চলাফেরা সন্দেহজনক হওয়ায় এলাকাবাসী তাকে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তার কথাবার্তা এলোমেলো পায়। এ সময় এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। গ্লাসের একটি সাদা মাইক্রোবাস আটক করেছে র‌্যাব-১৪ ও পুলিশ। এ সময় ড্রাইভার পালিয়ে গেছে।

লক্ষ্মীপুরে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে বৃদ্ধকে গণপিটুনি

গত ৭ জুলাই লক্ষ্মীপুরে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে অজ্ঞাত পরিচয় এক বৃদ্ধকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। সদর উপজেলার মাইলের মাথায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ আহত বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

স্থানীয়রা জানায়, রাস্তার পাশে একা পেয়ে স্থানীয় জয়নাল নামে এক ব্যক্তির শিশুকে অপহরণের চেষ্টা করছিল ওই বৃদ্ধ। এমন সন্দেহে স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

বান্দরবানে রোহিঙ্গা নারীকে গণপিটুনি

বান্দরবানে ছেলেধরা সন্দেহে রোকেয়া (১৮) নামে এক রোহিঙ্গা নারীকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। আহত অবস্থায় পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জেলা সদরের লেমুঝিরি আগাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আগাপাড়া এলাকায় মাঠে গরু চড়াতে যাওয়ায় শুভ নামের এক ছেলে রোহিঙ্গা নারী কাছে ডাকে। অপরিচিত নারী ছেলেটিকে কাছে ডাকার বিষয়টি সে পরিবারের লোকদের বললে স্থানীয়রা রোহিঙ্গা নারীকে ধাওয়া করে। পালিয়ে যাবার সময় রোহিঙ্গা নারীকে গ্রামবাসী আটকিয়ে গণপিটুনি দিয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করেছে। পরে চিকিৎসার জন্য পুলিশ তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘রোহিঙ্গা নারীটি কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প থেকে এসেছে। তার সঙ্গে আরও চারজন রয়েছে বলে রোহিঙ্গা নারী গণপিটুনির সময় এলাকাবাসীর কাছে স্বীকার করেছে। তবে আটক নারীর চিৎকার শুনে অন্যরা পালিয়ে যায়।’

প্রসঙ্গত, পদ্মাসেতুর জন্য ‘শিশুর মাথা লাগবে’ বলে একটা গুজব ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। এরপর থেকেই আসতে শুরু করেছে একের পর এক গণপিটুনির খবর।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল