শচিন টেন্ডুলকার। ছবি: সংগৃহীত
শচিনকে অনন্য সম্মান আইসিসির
আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯, ২০:১৪
(প্রিয়.কম) ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ‘হল অব ফেমে’ স্থান পেয়েছেন শচিন টেন্ডুলকার। ষষ্ঠ ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এ বিরল সম্মাননা পেয়েছেন দেশটির এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান।
১৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার লন্ডনে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আইসিসির ‘হল অব ফেমে’ জায়গা দেওয়া হয়েছে শচিনকে। তিনি ছাড়াও মর্যাদাপূর্ণ এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার অ্যালান ডোনাল্ড ও অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেট দলের সাবেক পেসার ক্যাথরিন ফিৎজপ্যাট্রিক।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে আইসিসির ‘হল অব ফেমে’ নাম অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। এই নিয়মের কারণে এতদিন আইসিসির ‘হল অব ফেমে’ জায়গা হয়নি শচিনের। ২০১৩ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ভারতের এই ব্যাটিং কিংবদন্তি। অবসরের পাঁচ বছর পেরোতেই তাকে ‘হল অব ফেমে’ অন্তর্ভুক্ত করে অনন্য সম্মান দিয়েছে আইসিসি।
Highest run-scorer in the history of Test cricket
— ICC (@ICC) July 18, 2019
Highest run-scorer in the history of ODI cricket
Scorer of 100 international centuries
The term 'legend' doesn't do him justice. @sachin_rt is the latest inductee into the ICC Hall Of Fame.#ICCHallOfFame pic.twitter.com/AlXXlTP0g7
শচিনের আগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে বিষেণ সিংহ বেদী (২০০৯), সুনীল গাভাস্কার (২০০৯), কপিল দেব (২০০৯), অনিল কুম্বলে (২০১৫) ও রাহুল দ্রাবিড় (২০১৮) আইসিসির ‘হল অব ফেমে’ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার বলা হয় এলান ডোনাল্ডকে। প্রোটিয়াদের হয়ে ৭২ টেস্ট ও ১৬৪টি ওয়ানডে খেলেছেন ডানহাতি এই পেসার। ৭২ টেস্টে তার নামের পাশে রয়েছে ৩৩০ উইকেট এবং ১৬৪ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ২৭২ উইকেট।
এ ছাড়া অষ্টম নারী ক্রিকেটার হিসেবে হল অব ফেইমে জায়গা পেয়েছেন ফিৎজপ্যাট্রিক। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে অজিদের হয়ে ১৩ টেস্টে ৬০ এবং ১০৯ ওয়ানডেতে ১৮০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাবেক এই অজি ক্রিকেটার।
এখানেই শেষ নয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন ফিৎজপ্যাট্রিক। ক্রিকেট ছাড়ার পর দায়িত্ব নিয়েছেন কোচ হিসেবে। সেখানেও পেয়েছেন অভূতপূর্ব সাফল্য। অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে তিনবার বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড রয়েছে তার।
প্রিয় খেলা/কামরুল