হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও জি এম কাদের। ফাইল ছবি
এরশাদের চেয়ারে জিএম কাদের
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯, ১৫:৪১
(প্রিয়.কম) হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে তার ভাই জিএম কাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে।
১৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ০/১ ক ধারা অনুযায়ী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মৃত্যুর আগে বলে গেছেন, তার অবর্তমানে জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান হবেন। আজ থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জিএম কাদেরই আজ থেকে দলের চেয়ারম্যান হবেন।’
তবে এরশাদের স্ত্রী ও দলের সিনিয়র কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদকে সংবাদ সম্মেলনে দেখা যায়নি।
মসিউর রহমান বলেন, ‘জিএম কাদের এখন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নন, তিনি পার্টির চেয়ারম্যান। পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি এতদিন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। পার্টির সদ্যপ্রয়াত চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মৃত্যুর আগে তাকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন। গত কয়েক মাস ধরেই এ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন জিএম কাদের।’
দায়িত্ব পেয়ে যা বললেন জি এম কাদের
চেয়ারম্যান পদে নিজের নাম ঘোষণার পর জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে কোনো দ্বন্দ্ব, মতভেদ ও বিভেদ নেই। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এ জন্য জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এরশাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত সিএমএইচের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান কাদের। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান কাদের।’
কে হবেন বিরোধী দলীয় নেতা?
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন। এখন তার মৃত্যুর পর কে থাকবেন ওই পদে—আজ সাংবাদিকেরা এ প্রশ্ন করেন। উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘দলের সংসদীয় কমিটিতে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
এরশাদের মৃত্যু ও দাফন
গত ১৪ জুলাই, রবিবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন। রবিবার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদে দ্বিতীয় এবং বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরশাদের মৃত্যুর পর তার দাফন ঢাকায় হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয় দলটির পক্ষ থেকে। কিন্তু এর আগে থেকেই রংপুরে এরশাদের দাফনের দাবিতে অনড় দলীয় কর্মীদের চাপে শেষতক রংপুরের এরশাদের বাড়ি পল্লী নিবাসেই তার দাফন হয়। দলীয় কর্মীদের প্রবল চাপে জি এম কাদের ও পরে রওশন এরশাদ রংপুরে এরশাদের দাফনের বিষয়ে সম্মতি দেন।
প্রিয় সংবাদ/আশরাফ