কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিশ্বকাপ ফাইনালের এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। ছবি: সংগৃহীত

আম্পায়ারকে সেই চার রান ফিরিয়ে নিতে বলেছিলেন স্টোকস!

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৯, ২২:২০
আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯, ২২:২০

(প্রিয়.কম) দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে। আর ৪১ বছর অপেক্ষার পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে ইংল্যান্ড। গেল ১৪ জুলাই ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ আসরের ফাইনালে সুপার ওভারের রোমাঞ্চে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় ইংলিশরা। সেটাও ভাগ্যের বদৌলতে এবং আম্পায়ারের একটা বড় ভুলে!

জয়ের জন্য শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান স্টোকস। তাতে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ৩ বলে ৯ রান। ওভারের চতুর্থ বলটি লং অন দিয়ে খেলেন স্টোকস।

সেখান থেকে বল কুড়িয়ে উইকেটরক্ষকের উদ্দেশে থ্রো করেন মার্টিন গাপটিল। ওই সময় দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটছিলেন স্টোকস। এদিকে গাপটিলের ছোঁড়া বলটি উইকেটরক্ষকের কাছে পৌঁছানোর আগেই দ্বিতীয় রান নিতে আসা স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। ওভার-থ্রো মিলিয়ে ইংল্যান্ডকে ৬ রান উপহার দেন আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা।

অতিরিক্ত ওই চার রান অবশ্য ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন স্টোকস! এমনকি আম্পায়ারকে সেই চার রান তুলে নিতে পর্যন্ত বলেছিলেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। এমনটাই দাবি করছেন জেমস অ্যান্ডারসন। বিবিসিরকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এমন তথ্যই জানিয়েছেন এই ইংলিশ পেসার।

ইংল্যান্ডের করার কিছুই ছিল না দাবি করে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘ক্রিকেটীয় ভদ্রতা হলো, স্টাম্পে থ্রো করা বল যদি আপনার কারণে দিক বদলে অন্য কোনো দিকে চলে যায়, আপনি রান নেবেন না। কিন্তু বল যদি ছিটকে গিয়ে চার হয়ে যায়, তাহলে ক্রিকেটীয় আইনেই তো এটা চার, তখন আর আপনার কী করার থাকে?’

এখানেই শেষ নয়। আম্পায়ারদের কাছে গিয়ে সেই চার রান ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছিলেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনের বরাত দিয়ে এমন তথ্য দিয়েছেন অ্যান্ডারসন। তার ভাষ্য, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আমি মাইকেল ভনের সঙ্গে আলাপ করেছিলাম। তার আগে অবশ্য স্টোকসের সঙ্গে ভনের দেখা হয়েছিল। তখন তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। স্টোকস আম্পায়ারের কাছে গিয়েছিল এবং জানিয়েছিল, ওই চার রান তাদের দরকার নেই। রানগুলি তারা যেন কেটে নেয়।’

এ সময় অ্যান্ডারসন আরও বলেন, ‘কিন্তু এটা নিয়মে আছে। যার ফলে এমনটা হয়েছে।’

এদিকে ওই ৬ রানের জোরে শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সমান স্কোর করতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। এরপর ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারও অবশ্য টাই হয় ম্যাচটি। কিন্তু বাউন্ডারি সংখ্যার বিচারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।

প্রিয় খেলা/রুহুল