কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢল রুপ নিচ্ছে বন্যায়

মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৯, ২০:০৬
আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯, ২০:০৬

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশে প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়। তবে এবার আষাঢ় মাসের শুরুতে বর্ষাকালের রূপ ছিল যেন গ্রীষ্মের মতো। অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে ছিল জনজীবন। কিন্তু আষাঢ়ের বিদায় বেলায় চিরচেনা রূপ ধারণ করেছে বর্ষাকাল। গত কয়েক দিন আগে ভারি বৃষ্টি শুরু হয় চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় অঞ্চলে। এখন এই বৃষ্টি ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। এতে বন্যার আশঙ্কায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।

আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী দুদিন ভারি বৃষ্টি চলবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ জন্য বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

ইতোমধ্যে ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশে বন্যার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলে দেশের ১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। ১২ জুলাই, শুক্রবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার এবং নীলফামারীতে বন্যা পরিস্থির অবনতি হয়েছে। ভারতের ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যমুনা নদীতে পানি বাড়বে এবং বিহারে গঙ্গার পানি বাড়ায় পদ্মার অববাহিকায় বন্যা দেখা দিতে পারে।’

অতিবৃষ্টির কারণে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় বন্যা মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে মাঠ পর্যায়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোতে পাঠানো হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লাখ টাকা, সাড়ে ১৭ হাজার টন চাল এবং ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার। এসব জেলায় দুএক দিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে ৫০০ তাবু, তৈরি করা হয়েছে মেডিকেল টিম। এবং ৬২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। তারমধ্যে ২৬টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ৫৫১টি সেন্টারকে ঝুঁকিমুক্ত করতে কাজ অব্যাহত রয়েছে।

এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মেডিকেল টিম গঠন করেছে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরেও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেই নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে সব ধরনের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জনদের নেতৃত্বে টিম গঠন করা হয়েছে যাতে পানিবাহিত রোগ বিস্তার রোধ করা যায়। খাদ্যগুদামে কর্মরতদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশের নদ-নদীর পানির ৯৩ শতাংশই আসে উজানের দেশগুলো অর্থাৎ নেপাল, ভারত এবং কিছুটা ভুটান থেকে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা এবং মেঘনা অববাহিকায় বৃষ্টিপাতের ওপরই বাংলাদেশে বন্যা হবে কিনা সেটি নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে ঢল নেমে আসায় ক্রমাগত ভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এবং নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে থাকে। যার ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও বাংলাদেশে বন্যার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ এর বন্যার পরিস্থিতি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ত্রাণ সচিব শাহ কামাল বলেন, ‘প্রতিটি বন্যা কবলিত জেলায় দুই হাজার প্যাকেট করে মোট ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পাঠানো হয়েছে। একটি প্যাকেটে চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, তেল, আটা, মসুরের ডাল, শিশু খাবারসহ একটি পরিবারের সাত দিনের খাবার রয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৯৩ লাখ নগদ টাকা এবং দুই দফায় সাড়ে ১৭ হাজার টন চাল বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। কোনো জেলা প্রশাসক চাহিদা পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে চাল দেওয়া হবে।’

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ৪৮ ঘণ্টায় যমুনা নদীর জামালপুর জেলায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

এ ছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, সোমেশ্বরী, ফেনী, সাঙ্গু, মাতামুহুরি, হালদাসহ প্রধান নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম চালু

দেশের বিভিন্ন স্থানের বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের লক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে (সচিবালয়স্থ ৬নং ভবনের পঞ্চম তলা) কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের এ তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের ৪২৫ নম্বর রুমে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর ০২৯৫৭০০২৮।

এই কন্ট্রোল রুমে সারাদেশে বন্যা সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। বন্যা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য সবাইকে কন্ট্রোল রুমের বর্ণিত নাম্বারে ফোন করার অনুরোধ করা হয়েছে।

তিনি জানান, এ ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ‘বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র’ এর টোল ফ্রি ১০৯০ নাম্বারে ফোন করার পর ৫ প্রেস করে বন্যার পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে।

বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্যোগ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সবার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া আছে। তারা দুর্যোগ মোকাবেলা করবে। সেই সাথে দলীয় কর্মীরাও দুর্যোগ মোকাবেলায় নিয়োজিত।’

১২ জুলাই, শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্য দেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্কুলে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে বন্যা কবলিত এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা। এ ছাড়া বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকলে জেলার অধিকাংশ উপজেলার প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজে বন্যায় কবিলত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে ৮ উপজেলার অন্তত ১৯৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা প্লাবিত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সাময়িকভাবে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওর সংলগ্ন ছিলাই তাহিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাদিউজ্জামান জানান, বন্যায় স্কুলে পানি প্রবেশ করেছে। পানি বাড়ার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে একবারেই কম আসে। একপ্রকার বন্ধই স্কুল। এ ছাড়াও পানিতে ডুবে যাওয়া আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলের কারণে যেসব বিদ্যালয় শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়েছে, সেসব বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ দায়িত্বশীল সব দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।’

বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের স্কুল হাওরের মাঝে হওয়ায় স্কুলটি বন্যায় প্লাবিত, তাই পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে জেলার সদর উপজেলায় ২২টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় তিনটি, ধর্মপাশা উপজেলায় ৫৯টি, তাহিরপুর উপজেলায় ৩০টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ২৭টি, দোয়াবাজার উপজেলায় ১৮টি, ছাতক উপজেলায় ১০টি এবং জামালগঞ্জ উপজেলায় ৩০টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া জেলার ছয়টি উপজেলার অন্তত ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে।

পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে সোমেশ্বরীর

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সোমেশ্বরী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভারতের মেঘালয়ে টানা বৃষ্টির কারণে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুল্লাগড়া ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের সড়কগুলো নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীরাও ছুটছেন পার্শ্ববর্তী নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইন্দ্রপুরসহ আশপাশের প্রায় তিন শতাধিক পরিবার, বিরিশিরি মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।

১১ জুলাই, বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম ভাঙন কবলিত ও প্লাবিত এলাকাগুলো পরিদর্শন শেষে বিরিশিরি ইউনিয়ন পরিষদে ১৫০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

টাঙ্গাইলে দেবে গেছে রেললাইন

গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইলে কালিহাতীতে পৌলী রেল সেতুর উত্তর পাশের লাইনের একটি অংশ দেবে গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে ঢাকার সঙ্গে উত্তরের রেল যোগাযোগ।

১২ জুলাই, শুক্রবার সকাল থেকেই সেতুর ওই দেবে যাওয়া অংশ মেরামতের কাজ শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুটি দিয়ে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল করছে।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল