কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তিন ফরম্যাটেই আফগানদের নেতৃত্ব দেবেন রশিদ খান। ছবি: সংগৃহীত

আফগানদের নতুন নেতা রশিদ খান

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৯, ১৮:৩৮
আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯, ১৮:৩৮

(প্রিয়.কম) বিশ্বকাপের শুরু থেকে কথার তুবড়ি ছুটিয়ে আসছিলেন আফগান ক্রিকেটাররা। অনেক অঘটনের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন তারা। কিন্তু আফগানদের মাঠের পারফরম্যান্সে তার বিন্দুমাত্র ছাপ খুঁজে পাওয়া যায়নি। লিগ পর্বের নয়টি ম্যাচের মধ্যে একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি গুলবাদিন নাইবের দল। দশ দলের মধ্যে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে বিশ্বকাপের এবারের আসর শেষ করে প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়া আফগানিস্তান।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে বিদায় নেওয়ার পর বড়সড় রদবদলের ইঙ্গিতই দিয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান হতে শুরু করে করেছে সেই রদবদল। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পরিবর্তন এসেছে দলের নেতৃত্বে। নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রশিদ খানকে। এখন থেকে তিন ফরম্যাটেই আফগানদের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।

আসগর আফগানের অধিনায়কত্বে ভালোই খেলছিল আফগানিস্তান। তিন ফরম্যাটেই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে হঠাৎ করেই অধিনায়কত্বে বেশ বড়সড় পরিবির্তন আনে এসিবি। আসগর আফগানকে সরিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া হয় গুলবাদিন নাইবকে। তার নেতৃত্বেই বিশ্বকাপে অংশ নেয় আফগানরা।

এখানেই শেষ নয়! তিন ফরম্যাটের জন্য তিনজন অধিনায়ক ঠিক করে দেয় আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব, রশিদ খানকে দেওয়া হয় টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব। এ ছাড়া টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল রহতম শাহকে।

বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের আগে বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে অবশ্য তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে ভারতে থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানান তারা। তাদের এসব প্রতিবাদ অবশ্য কানে লাগায়নি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

এদিকে বোর্ডের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি গুলবাদিন নাঈব। এবারের বিশ্বকাপে দলকে কোনো সাফল্যই এনে দিতে পারেননি তিনি। বরং পরাজয়ের বৃত্তে থেকে এবং খালি হাতে বিশ্বকাপকে বিদায় জানায় আফগানিস্তান। দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সে হতাশ এসিবি। এ কারণে দেশে ফিরতেই গুলবাদিনের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে অধিনায়কত্ব।

প্রিয় খেলা/কামরুল