কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিস্ময় মুগ্ধ। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম

‘মনের জাদুকরে’র মুগ্ধর গল্প

মিঠু হালদার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৯, ১৮:৫১
আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯, ১৮:৫১

(প্রিয়.কম) বাবা-মা দুজনই সংস্কৃতিস্বজন মানুষ। জীবনটাকে তাই দেখছেন চেনা ছকের বাইরে। জীবন মানে শুধু পড়াশোনা নয়, হতে হবে সৎ মানুষ—এটাই মূল শিক্ষা। সে পথেই হাঁটছেন। এত কথা যাকে নিয়ে, সে হচ্ছে দীপঙ্কর দীপন নির্মিত শিশুতোষ নাটক ‘মনের জাদুকর’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ানো মুগ্ধ।

বাংলাদেশের অন্যতম সংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের সমন্বিত সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ নালন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস সেভেনে পড়ছে মুগ্ধ। পড়াশোনার পাশাপাশি গান (তৃতীয় বর্ষ), তবলা শিখছে।

মুগ্ধর বাবা অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর সঙ্গে যুক্ত। আর তার মা সংগীত অনুরাগী।

মুগ্ধ বলে, ‘আমার পরিবার থেকে শুধু পড়াশোনা নয়, পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে, ছোটবেলা থেকেই এ বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে। যখন খুব ছোট ছিলাম তখন বাবা-মা গান শেখানোর ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন। যা একটু বড় হওয়ার পর বুঝতে পেরেছি। একটা সময় গিয়ে গান শেখার বিষয়টা মনে ধরে যায়। তারপর থেকেই গান শেখার চেষ্টায় রত আছি।’

বিভিন্ন পরিস্থিতিতে শিশুদের কি ধরনের আবেগ তৈরি হয় এবং তারা কেমন আচরণ করে এমন কিছু ভাবনা নিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল দুরন্ত টিভির ধারাবাহিক নাটক ‘মনের জাদুকর’। ধারাবাহিক নাটকটিতে প্রধান রাতুল চরিত্রে অভিনয় করেছে মুগ্ধ। রাতুল চরিত্রটি হলো সে সবসময় যুক্তি দিয়ে কথা বলে। কখনো অযৌক্তি কথা বলে না। অসৎ পথে চলে না।

‘অডিশন দেওয়ার পর আমি খুব আশায় ছিলাম, চরিত্রটির জন্য ডাক পাব। এরপর দুই মাস পর আমাকে ফোন করে জানানো হয়, রাতুল চরিত্রটির জন্য আমাকে নির্বাচন করা হয়েছে’, বলে মুগ্ধ।

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে মুগ্ধ বলে, ‘আমার নাটকের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, কো-আর্টিস্ট থেকে শুরু করে শুটিং ইউনিটের সবাই আমাকে হেল্প করেছে। আমার খুব ভালো লেগেছে কাজটা করে। আমাকে চিত্রনাট্য অনুযায়ী যেভাবে গাইড করা হয়েছে সেটা আমার চরিত্র ধারণের জন্য বেশ সহযোগিতা করেছে।’

মুগ্ধ বলে, ‘যখন শুনেছি এটা দীপন আংকেলের (দীপঙ্কর দীপন) কাজ, তখন আমি অনেক খুশি হয়েছি। কারণ তার “ঢাকা অ্যাটাক” দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। প্রথম প্রথম একটু ভয় পেয়েছিলাম, তিনি কেমন হবেন। তারপর কাজ করতে গিয়ে দেখলাম সে অনেক মজার একটা মানুষ। অনেক সেটে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, কেউ না কেউ খারাপ আচরণ করছে। কিন্তু এই নাটকের সেটে একটি মানুষও পাইনি যে খারাপ আচারণ করেছে।’

মুগ্ধকে অভিনয় কিংবা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বেড়ে ওঠার জন্য শুধু যে বাবা-মাই প্রতিনিয়ত সাহস যুগিয়ে যান, তা কিন্তু নয়। দাদা-দাদি, বন্ধু ও প্রতিবেশীরাও তাকে এ বিষয়গুলোতে বেশ উৎসাহিত করেন।

‘আমি আরও কাজ করতে চাই, প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আমি চাই আমি যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটব তখন পাশ থেকে মানুষ বলবে, ওই যে মুগ্ধ যায়। আমি এখন শুধু এ নাটকটিই করছি। আমি আস্তে আস্তে এগুতে চাই। যেন ক্যারিয়ারটা ধরে রাখতে চাই’, যোগ করে সে।

অবসর সময়ে বই পড়তে ভালো লাগে মুগ্ধর। একটু বেশি সময় পেলে পরিবারের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। ভবিষ্যতে সে মহাকাশ বিজ্ঞানী হতে চান। পাশাপাশি গান, অভিনয় নিজেকে যুক্ত রাখতে চায় নিজেকে।

মুগ্ধ বলে, ‘আমার সহজ-সরল জীবনযাপন পছন্দ। চারপাশ দেখেই আমি আমার নিজেকে ভালোবাসতে শিখেছি। আমার মনে হয় সবার আগে ভালোবাসতে হয় নিজেকে। কারণ নিজেকে ভালোবাসলে আমি সবাইকে ভালোবাসতে পারব। হিংসা যেন আমার ভেতরে না ঢোকে।’

প্রিয় বিনোদন/রিমন