বাঁ থেকে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার ও রবীন্দ্র জাদেজা। ছবি: সংগৃহীত
সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে ধুয়ে দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৯, ০৯:২৪
(প্রিয়.কম) ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২তম আসরে এখন পর্যন্ত একাদশে সুযোগ মেলেনি রবীন্দ্র জাদেজার। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের পরিবর্তে ভারত মূলত দুই স্পিনার কুলদীপ ও চাহালকে প্রাধান্য দিয়েছে। বাংলাদেশ ম্যাচের আগে অবশ্য শোনা যাচ্ছিল, একাদশে ডাক পাবেন জাদেজা।
ওই সময় জাদেজার মতো খেলোয়াড়ের একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসেন ভারতীয় ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। তার মতে, জাদেজা অল্প ব্যাটিং-বোলিং জানা ক্রিকেটার।
মাঞ্জরেকারের ভাষ্য ছিল এরকম, ‘আমি বিটস অ্যান্ড পিসেস (যারা সব কাজই অল্প অল্প পারে) খেলোয়াড়দের খুব একটা ভক্ত নই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এ মুহূর্তে জাদেজা ঠিক এ অবস্থাতেই আছে। সে টেস্ট খেলে শুধুমাত্র বোলার হিসেবে। ওয়ানডেতে আমি এমন খেলোয়াড় চাই, যে ব্যাটিং করতে জানে, সঙ্গে বোলিংটাও পারে।’
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচে জাদেজাকে একাদশে রাখেনি ভারত। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে শিখর ধাওয়ানের বদলি ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন জাদেজা। দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে ফেরত পাঠিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও লং অনে জেসন রয়ের দারুণ ক্যাচ ধরেছেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের ওইরকম মন্তব্য ভালো ভাবে নেননি জাদেজা। তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছেন তিনি। মাঞ্জরেকারের সমালোচনা যে ভালোভাবে নিতে পারেননি, সেটা বোঝানোর জন্য বেছে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারকে। রীতিমত সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে ধুয়ে দিয়েছেন ভারতীয় এই ক্রিকেটার।
এক টুইটে সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের তীব্র সমালোচনা করে ভারতের হয়ে ৪১ টি টেস্ট ও ১৫১ টি ওয়ানডে খেলা জাদেজা লিখেছেন, ‘এরপরও আমি আপনার দ্বিগুন বেশি ম্যাচ খেলেছি। যারা ক্রিকেটে কিছু অর্জন করেছে তাদের সম্মান করুন। আপনার অশ্রাব্য ও যুক্তিহীন কথা শুনতে শুনতে আমি বিরক্ত।’
Still i have played twice the number of matches you have played and i m still playing. Learn to respect ppl who have achieved.i have heard enough of your verbal diarrhoea.@sanjaymanjrekar
— Ravindrasinh jadeja (@imjadeja) July 3, 2019
কিছুদিন আগেই মাঞ্জরেকারের ধারাভাষ্য ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ ও ‘অপেশাদার’ উল্লেখ করে আইসিসি বরাবর চিঠি দিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় নাগরিক আদি কুমার।
প্রিয় খেলা/আশরাফ