কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করে এসব কথা বলছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে: মির্জা ফখরুল

মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০১৯, ১৮:৪০
আপডেট: ২৮ জুন ২০১৯, ১৮:৪০

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলেই দেশটি দিন দিন খারাপের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘বরগুনায় প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা প্রমাণ করে এ সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কারণ সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণের মাধ্যমে বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণেই এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

২৮ জুন, শুক্রবার বিকেলে বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জিএম সিরাজকে নিয়ে রাজধানীতে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বরগুনার যুবক হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র খুঁজে পান কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অপরাধী যদি শাস্তি না পায় এবং দলীয়কারণে তারা যদি মুক্ত হয়ে যায় তবে স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য অপরাধীদের ওই দলের ছত্রছায়ায় গিয়ে অপরাধ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।’

তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যান খুঁজলে দেখতে পাবেন গত ১০ বছরে যত হত্যা হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে, ধর্ষণ হয়েছে এবং অতিসম্প্রতি যেসব হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তা নজিরবিহীন।’

এরকম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা বেড়েছে যেহেতু আইনের শাসন নেই, জবাবদিহিতামূলক কোনো সরকার নেই, যেহেতু জনগণ এ সরকারকে নির্বাচিত করেননি, তাই এখানে ন্যায়বিচার নেই এবং বিচারহীনতার প্রবণতা রয়েছে। তাই এ ধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা জানেন বগুড়া-৬ সংসদীয় আসনটি খালেদা জিয়ার নির্বাচনি আসন। এখান থেকে তিনি বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। আজ সেই আসনের উপ-নির্বাচনে আমাদের বগুড়ার জনপ্রিয় নেতা জিএম সিরাজ নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা তাকে সাথে নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজার জিয়ারত করলাম। আজকে এখানে শপথ নিয়েছি, গণতন্ত্রের যে সংগ্রাম তাকে অব্যাহত রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে জোরদার করব। আমরা আশা করব জিএম সিরাজ, যিনি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি পার্লামেন্টে গিয়ে দেশের কথা, জনগণের কথা, বেগম জিয়ার মুক্তির কথা এবং নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলবেন।’

তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাব।’

বিশ দলীয় জোটের শরীক এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ‘জাতীয় মুক্ত মঞ্চ’ সম্পর্কে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘যেকোনো দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ঘোষণা করার অধিকার আছে, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যেকোনো উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।’

প্রিয় সংবাদ/রুহুল