কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট: তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিআইজেএফ। ছবি: সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি চায় বিআইজেএফ

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০১৯, ১৮:৪৭
আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯, ১৮:৪৭

(প্রিয়.কম) ২০১৯-২০ অর্থবছরে আইসিটি খাতের উন্নয়নে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।

২৩ জুন, রবিবার রাজধানীর কারওরান বাজারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের অডিটোরিয়ামে ‘২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট: তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। আলোচনা সভার আয়োজন করে বিআইজেএফ।

আলোচনা সভায় বলা হয়, ২০১০ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ছিল ৫০০ কোটি টাকারও কম। মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ সালের জাতীয় বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১৫ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি বিভাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছে এক হাজার ৯২০ কোটি টাকা যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। পাশাপাশি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বরাদ্দ ২০ শতাংশ বাড়ানোরও প্রস্তাব রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এ বরাদ্দ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তবে এ খাতের উন্নয়নে বরাদ্দকৃত এ অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা যাচ্ছে ই-বাণিজ্যে ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। আবার ইন্টারনেট ব্যবহার এবং ই-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে শীর্ষ মাধ্যম আমদানিকৃত স্মার্টফোনে ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বর্ধিত এ ভ্যাট এবং শুল্ক ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবিকে যৌক্তিক মনে করে ই-বাণিজ্যে ভ্যাট প্রত্যাহার এবং আমদানিকৃত স্মার্টফোনে শুল্ক আগামী দুই বছরের জন্য ১৫ শতাংশ করা যেতে পারে।

এ ছাড়া ই-কমার্স, রাইড শেয়ারিং, কম্পিউটার ও হার্ডওয়্যার খাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষায় বাজেটে সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকা প্রয়োজন বলেও মনে করে বিআইজেএফ।

অনুষ্ঠানে বিআইজেএফ সভাপতি মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউয়ের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক হাসান জাকির।

অনুষ্ঠানে বিআইজেএফ সহসভাপতি নাজনীন নাহার, সহ সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাছিব রহমান, কোষাধ্যক্ষ এনামুল করিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম রাহাদ এবং নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান সোহেল ও রাহিতুল ইসলাম রুয়েল উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিআইজেএফ’র সিনিয়র সদস্য পল্লব মোহাইমেন, আব্দুল হক অনু, আব্দুল ওয়াহেদ তমাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বিআইজেএফ’র পক্ষ থেকে আরও যেসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয় এসবের মধ্যে রয়েছে- তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পিছিয়ে থাকা নারীদের উন্নয়নে বাস্তবমুখী প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা, গবেষণা ও উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, তরুণদের নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও উদ্ভাবিত সামগ্রী ব্র্যান্ডিং ও বাণিজ্যিকীকরণ, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাঠামো জোরদার করা, প্রযুক্তি খাতে বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোসহ অন্যান্য।

প্রিয় প্রযুক্তি/কামরুল