কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চলমান বিশ্বকাপে হাসছে না শোয়েব মালিকের ব্যাট। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপে রানের চেয়ে টুইট বেশি করেছেন শোয়েব মালিক!

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০১৯, ১০:৪৫
আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯, ১০:৪৫

(প্রিয়.কম) চলমান বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। নিজদের প্রথম ম্যাচে দলটি মুখোমুখি হয়েছিল উইন্ডিজের। এই ম্যাচে সুযোগ মেলেনি শোয়েব মালিকের। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে জায়গা পান তিনি। ওই ম্যাচে বলহাতে এক উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে করেন মাত্র ৮ রান।

পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাদশে থাকলেও বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় মাঠে নামা হয়নি মালিকের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামলেও ৩০৮ রানের লক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাট হাতে নেমে দুই বল খেলে ০ রানে আউট হয়ে ফিরেছেন। পাশাপাশি বল হাতে চার ওভার বল করে উইকেটশূন্য থেকে দিয়েছেন ২৬ রান।

সর্বশেষ গত ১৬ জুন বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে হার্দিক পাণ্ডিয়ার প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফিরেছেন গ্যালারিতে। আর এক ওভার বল করে ১টি ছক্কাসহ দিয়েছেন ১১ রান। সবমিলিয়ে চলমান বিশ্বকাপে শোয়েব মালিকের রান সংখ্যা ৮ রান!

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য বিশ্বকাপের চলমান আসরে রানের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বেশি পোস্ট করেছেন পাকিস্তানের তারকা এই অলরাউন্ডার!

বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত টুইটারে টুইট কিংবা রিটুইট করেছেন মোট ১২টি। অবশ্য ইনস্টাগ্রামের পোস্ট বিচার করলে তার রান সংখ্যাই বেশি। বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি ৭টি পোস্ট করেন; যেখানে তার ওয়ানডে বিশ্বকাপের চলমান আসরে তার রান সংখ্যা ৭!

বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে শোয়েব মালিকের মতো অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়ের এমন পারফরম্যান্সে নিঃসন্দেহে ক্ষুব্ধ পাকিস্তানি সমর্থকরা। তাদের মতে, কোনো প্লেয়ার চাইলে বিশ্বকাপের আসরে টুইট কিংবা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতেই পারেন। এটি সমস্যার কোনো বিষয় নয়।

কিন্তু সমস্যা হয় তখন যখন নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলা খেলতে ব্যর্থ হয় কিংবা দলের ধারাবাহিক অধঃপতন অব্যাহত থাকে। ঠিক একই বিষয় হয়েছে শোয়েব মালিকের সাথে। ২৮৭ টি ওয়ানডে খেলা এই অলরাউন্ডারের উপর তাই বেজায় চটেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ও ক্রিকেট ভক্তরা।

মালিকের দলে থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে চলছে তুমুল সমালোচনা।

ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিক ইনফোও মালিকের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত মিডল অর্ডারে শোয়েব মালিকের গড় ৩০’র ও কম। ক্রিকেট বিশ্বে এই সময়ে তার চেয়ে কম গড় ছিল কেবল মাত্র ৫ জনের।

শোয়েব মালিককে নিয়ে ওই প্রতিবেদনের লেখক উসমান সামিউদ্দিন লিখেছেন, ‘আপনি যদি তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দিয়ে চিনে থাকেন, তাহলে আপনার মনে হবে সে একজন কিংবদন্তি। এটা কখনোই বলা ঠিক হবে না; কারণ একটি স্ট্যাটাস বা পোস্ট কখনো তার অর্জন হতে পারে না।’

প্রিয় খেলা/আশরাফ