কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বেসিসে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

ই-কমার্স খাতে আরও ৫ বছরের জন্য ভ্যাট অব্যাহতির দাবি

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৯, ১৮:১৭
আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯, ১৮:১৭

(প্রিয়.কম) ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্যে ঘোষিত বাজেটে ই-কমার্সের যেকোনো অনলাইন পণ্য কেনাবেচায় ৭.৫% ভ্যাট প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ভ্যাট প্রস্তাব ই-কমার্সের মতো বিকাশমান সেক্টরের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

১৯ জুন, বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা এ কথা বলেন। অংশগ্রহণকারীরা ই-কমার্স খাতে আরও পাঁচ বছরের জন্য ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানান।

ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ী ও ই-কমার্স ইকোসিস্টেমসের অংশীজনদের নিয়ে বেসিসের ডিজিটাল কর্মাস স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

গোলটেবিল বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি জনাব সৈয়দ আলমাস কবীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল ওয়াহেদ তমাল, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, বেসিস ডিজিটাল কর্মাস স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, কো-চেয়ারম্যান আশিকুল আলম খান, কো-চেয়ারম্যান জিসান কিংশুক হক।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ, রকেট, উবার, পাঠাও, আইপে, সূর্যমুখী, প্রিয়শপ ডটকম, বাগডুম ডটকম, আজকের ডিল ডটকম, অথবা ডটকম, চালডাল ডটকম, হাংরিনাকি ডটকম, রকমারি ডটকম, পিকাবু ডটকম, সেবা এক্সওয়াইজেড, আইফ্যারি ডটকম, ই-ভ্যালি, ডেলিগ্রাম, প্রোপার্টি বাজার লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বেসিস সভাপতি তার প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, আইসিটি খাতে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাজেটে বারাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ সর্বশেষ অর্থবছরের চেয়ে ২১৭৬ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বরাদ্দ এ বছর ১৯৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বাজেটে সরকার সোশ্যাল মিডিয়া বিজনেসের ওপর ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর ভ্যাট কমানো হয়েছে যা প্রশংসনীয়। এজন্য আমরা মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

ফারহানা এ রহমান বলেন, ‘আমাদের ই-কমার্স খাত অগ্রসরমান একটি খাত। ক্রমবর্ধমান এই খাতে শূন্য থেকে সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট আরোপ এ খাতের অগ্রগতি ব্যাহত করবে। আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ করছি।’

বেসিস ডিজিটাল কর্মাস স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্থ হতে শুরু করেছে। অনলাইনে কেনাকাটায় ভ্যাট আরোপ করলে বেশি দামে মানুষ আর অনলাইনে কেনাকাটা করতে চাইবে না। ই-কমার্স গ্রাহক হারাবে। ক্রমবর্ধমান এ খাত স্থবির হয়ে পড়বে। আমরা এ খাতে এখনই ভ্যাট চাচ্ছি না।’

প্রিয় প্রযুক্তি/রিমন