কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভাঙন দেখা দিয়েছে পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে। ছবি: সংগৃহীত

ড্রেসিংরুমে ভাঙন, দুই গ্রুপে বিভক্ত পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০১৯, ২১:৪৩
আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯, ২১:৪৩

(প্রিয়.কম) বিশ্বকাপের পর্দা ওঠার আগে থেকেই অস্থিরতা বিরাজ করছিল পাকিস্তান ক্রিকেটে। এবার সেই অস্থিরতা আরও বেড়েছে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র একটিতে জয়ের দেখা পেয়েছে সরফরাজের দল। পয়েন্ট তালিকায় ১০ দলের মধ্যে তাদের অবস্থান নবম।

সব মিলিয়ে সেমিফাইনালের পথ অনেকটা নড়বড়ে হয়ে গেছে পাকিস্তানের। বাকি চার ম্যাচের মধ্যে সবগুলোতে জিতলেও শেষ চার নিশ্চিত নয় ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ীদের! এর চেয়েও বড় বিপত্তিটা দেখা দিয়েছে সর্বশেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারায়। ভারতের বিপক্ষে হারের পর থেকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের রীতিমতো ধুয়ে দিচ্ছেন দেশটির ভক্ত-সমর্থকরা।

এরই মধ্যে জানা গেল, ভাঙন দেখা দিয়েছে পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে। শুধু তাই নয়, কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। ড্রেসিংরুমে এই কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের কারণেই নাকি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে সরফরাজের দল! এমনটাই দাবি করেছে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল ‘সামা টিভি’ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের বিপক্ষে ৩০ বলে ১২ রান করে আউট হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে গিয়ে কয়েকজন সতীর্থের ওপর ক্ষোভ ঝারেন অধিনায়ক সরফরাজ। অধিনায়কের এমন ক্ষোভের শিকার হওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় রয়েছেন শোয়েব মালিক ও বাবর আজমের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। এ সময় ইমাম উল হক ও ইমাদ ওয়াসিমের বিরুদ্ধে দলাদলি, অসহযোগিতা ও তার বিরদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনেন সরফরাজ।

আরেকটি টেলিভিশন চ্যানেল ‘দুনিয়া নিউজ’ প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে উঠে আসে ড্রেসিংরুমে গ্রুপিংয়ের বিষয়টি। তাদের দাবি, পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে এই মুহূর্তে দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোহাম্মদ আমির। বাকি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম।

দুনিয়া নিউজ তাদের প্রতিবেদনে আরও দাবি করেছে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের পর সরফরাজের ওপর ক্ষুব্ধ হন শোয়েব মালিক, ইমাদ ওয়াসিম, ইমাম উল হক ও বাবর আজমসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। সেই থেকেই দলে গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি। কেবল তাই নয়, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মাঠেই ক্ষুব্ধ আচরণ করতে দেখা যায় মোহাম্মদ আমিরকে।

গ্রুপিংয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আসার পরই পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এ সময় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টি অস্বীকার করেন তারা। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে আউট হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে গিয়ে সরফরাজের ক্ষোভ প্রকাশের বিষয়টি অকপটেই স্বীকার করেছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রিকেটার বলেন, ‘সরফরাজ কাউকে দোষারোপ করেনি। গ্রুপিং নিয়েও তিনি কোনো কথা বলেনি। তিনি শুধু নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং সবাইকে নিজের সেরাটা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।’

প্রিয় সংবাদ/কামরুল