বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি
‘মিলিয়ন ডলার পাচার হচ্ছে অথচ রাসায়নিক পরীক্ষার যন্ত্র কেনা হচ্ছে না’
আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯, ২০:৫৫
(প্রিয়.কম) বিভিন্ন ফলে কেমিক্যাল না মেশাতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি নির্দেশ ছিল হাইকোর্টের। সে মোতাবেক আদালতে পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৮ জুন, মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এমন প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
পরে আদালত প্রতিবেদন দেখে উষ্মা প্রকাশ করে বলে, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাচার হচ্ছে, অথচ ক্ষতিকর রাসায়নিক পরীক্ষার যন্ত্র কেনার অর্থ দেওয়া হচ্ছে না! এরপর ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
শুনানিকালে আমে ফরমালিন ও রাসায়নিক পরীক্ষা করে বিএসটিআইর রিপোর্ট দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। এ সময় র্যাবের মহারিচালক (ডিজি), পুলিশের মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করা হয়।
পরে আদালত প্রতিবেদন দেখে উষ্মা প্রকাশ করে বলে, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাচার হচ্ছে অথচ ক্ষতিকর রাসায়নিক পরীক্ষার যন্ত্র কেনার অর্থ দেওয়া হচ্ছে না!
এর আগে গত ২০ মে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে যেন আমে রাসায়নিক ব্যবহার করতে না পারে তা তদারকির জন্য মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের চেয়ারম্যান ও পরিচালককে এ মনিটরিং টিম গঠন করতে বলা হয়।
প্রিয় সংবাদ/কামরুল