নারায়ণগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রের চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
মাইক দিয়ে ডেকেও ভোটার উপস্থিতি কম
আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯, ১৮:৫৮
(প্রিয়.কম) দেশের ১৭টি উপজেলার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে সকাল থেকে ভোটগ্রহন শুরু হলেও প্রত্যাশা অনুয়ায়ী ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসেননি। এরপর উপস্থিতি বাড়াতে মসজিদের মাইক দিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্ববান জানানো হয়।
১৮ জুন, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্দরের ৫৪টি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই ছিল না। দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন এলাকার মসজিদগুলোতে মাইকিং করে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এতেও সাড়া মেলেনি ভোটারদের। সকাল থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২০ থেকে ৫০টি করে ভোট পড়েছে এসব ভোটকেন্দ্রে।
মঙ্গলবার দুপুরে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ। ভোটারদের উপস্থিতি নেই জানিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ভোটারদের ওপর কোনো প্রকার চাপ নেই। ভোটার কমের ব্যাপারে তো পুলিশের কিছু করার নেই। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেকেই উপস্থিত হননি। বিকেলের দিকে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে প্রত্যাশা করা যায়।
এবার বন্দর উপজেলা নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ও নারী ভোটার সংখ্যা ৫৬ হাজার ২৬৪ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৫৪টি। এর মধ্যে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে ৪০টি কেন্দ্র এবং সাধারণ হিসেবে ১৪টি কেন্দ্র ধরা হয়েছে।
এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে প্রার্থী নির্ধারিত হয়েছে। এবার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ রশিদ।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টি নেতা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু উড়োজাহাজ, আকতার হোসেন বই, নুরুজ্জামান তালা, হাফেজ পারভেজ হাসান চশমা ও শহীদুল ইসলাম জুয়েল টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার কলস, সালিমা হোসেন শান্তা ফুটবল ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী নুরুন্নাহার সন্ধ্যা হাঁস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রিয় সংবাদ/কামরুল