কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

গায়ে টি-শার্ট, চোখে সানগ্লাস কিন্তু আসামির হাতে নেই হ্যান্ডকাপ!

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০১৯, ২০:৪৯
আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯, ২০:৪৯

(প্রিয়.কম) গায়ে হলুদ রঙয়ের টি-শার্ট, চোখে কালো সানগ্লাস কিন্তু আসামির হাতে ছিল না হাতকড়া।

১৭ জুন, সোমবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের দৃশ্য এটি। আসামি হলেন ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন। মোয়াজ্জেমকে হাজির করা হবে এমন খবর শুনে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় এজলাসে। ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে উঠানো হলো বিশেষ নিরাপত্তায়।

তার গায়ে হলুদ টি-শার্ট। চোখে কালো সান গ্লাস। কাঠগড়ার সামনে দাঁড় করানো হলো তাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সাধারণ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে হৈ-চৈ দেখা যায়। কারণ হিসেবে জানাযায়, অভিযুক্তকে কাঠগড়ায় নেওয়া হচ্ছে না কেন? হাতকড়া পরানো হলো না কেন? জানতে চান তারা। সঙ্গে সঙ্গে আদালতের নির্দেশে কাঠগড়ায় উঠানো হয় তাকে। আদালতের শুনানি চলা অবস্থায় সারাক্ষণ নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

শুনানি শেষে বিচারক সাবেক এ ওসির জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সোমবার বাংলাদেশ বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে শুনানি করা হয়।

মামলার বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনও হাতকড়া না পরানোয় বিষয়টির সমালোচনা করেন। তাকে কেন হাতকড়া পরানো হলো না জিজ্ঞাসা করলে এ আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে হাত হাতকড়া দিয়ে কেন আদালতে আনা হয়নি সে বিষয়ে পুলিশ ভালো জানেন। তবে পুলিশের কাছে আমার অনুরোধ ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে যেভাবে আদালতে আনা হয়েছে পরবর্তীতে অন্য অভিযুক্তদেরও যেন একইভাবে আনা হয়।’

এদিকে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের চত্বর আনা হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে আবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর শুনানি শুরু হয়। মামলার বাদী সায়েদুল হক সুমন আদালতে বলেন, ‘আসামি যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেন তাহলে তিনি কেন এতোদিন আত্মগোপনে ছিলেন? তিনি পুলিশ বিভাগের কলঙ্ক।’

এ সময় তিনি জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়।

নুসরাত জাহান রাফিকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার আগে ফেনীর সোনাগাজী সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত জাহান রাফি। তখন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল